প্রথম চালানে স্পেন যাচ্ছে ৬০ টন তৈরি পোশাক
আকাশ পথে সিলেট থেকে প্রথম ফ্রেইটার ফ্লাইটে রোববার ৬০ টন তৈরি পোশাক যাচ্ছে স্পেনে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বলছে, কার্গো উড়োজাহাজ ভাড়া করে এ কার্যক্রম চালানো হবে।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরেও সচল হচ্ছে ২৭০ টনের কার্গো স্টেশন। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরও বেশি ফ্রেইটার ফ্লাইট (মালবাহী উড়োজাহাজ) পরিচালনার অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। এরপর আকাশপথে আরও বেশি পণ্য পরিবহনের পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ।
এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়িয়েছে বিমান। সংস্থাটি বলছে, প্রাথমিকভাবে উড়োজাহাজ ভাড়া করে পণ্য পরিবহন করা হবে। আপাতত প্রতি সপ্তাহে চারটি উড়োজাহাজে পণ্য যাবে।
বিমানের কার্গো বিভাগের পরিচালক শাকিল মেরাজ বলেন, ‘এয়ারবাসের এ–৩৮০ উড়োজাহাজে ৬০ টন তৈরি পোশাক আমরা প্রথম চালানে পাঠাব। এর জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেফটি এবং সিকিউরিটির যে প্রটোকল আছে, ভ্যালিডিটেশন বা সার্টিফিকেশন, সে কাজগুলো আমাদের সম্পন্ন হয়েছে।’
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘যে কোনো বিমানবন্দর থেকে যখন আমরা পণ্য পাঠাই, দুই থেকে আড়াই ডলার পার কেজি পাঠাতে পারে। এখানে ৪ ডলার থেকে শুরু করে ৭ ডলার পর্যন্ত আমাদেরকে দিতে হয়। এই মনোপলি ব্যবসাটা বন্ধ করতে হবে। এরজন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। প্রথমে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে ডেকে ওনাদের কথা বলতে হবে। পরবর্তীতে বিমান বাংলাদেশকে কার্গো হ্যান্ডলিং শুরু করতে হবে।’
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ফ্রেইটার ফ্লাইট চালুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সচল হচ্ছে ২৭০ টনের কার্গো স্টেশন। চট্টগ্রাম থেকে চীনে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘চট্টগ্রামেও আমরা খুব শিগগিরই শুরু করব। কার্গো যেটা ছিল সেটার মধ্যে কিছু ছোটখাট কাজ গত ১ সপ্তাহ ধরে চলছে। অন্যান্য সব প্রিপারেশনও আমরা নিচ্ছি। ওখানে কাস্টমস–ইমিগ্রেশনকে নিয়ে বৈঠকও হয়েছে।’
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও কার্গো চাপ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত তৃতীয় টার্মিনাল চালুর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন