আমি এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি বাবা-মায়ের জন্যঃ বৈভব
বয়স ১৪ বছর ৩২ দিন। এই বয়সেই আইপিএলে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারতের বিস্ময়বালক বৈভব সূর্যবংশী। গুজরাট টাইটান্সের ২১০ রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ৩৮ বলে ১০১ রান করে আউট হন তিনি। এই এক ইনিংসেই রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তরুণ এই ব্যাটার।
বৈভবের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে ৮ উইকেটের জয় পায় রাজস্থান। সেইসঙ্গে হন ম্যাচসেরা। ব্যাট হাতে যতোটা সাবলীল মাইক্রোফেন হাতে ঠিক ততোটায় লাজুক বৈভব।
এমন দুর্দান্ত ইনিংসের প্রতিক্রিয়ায় তরুণ এই ব্যাটার জানান, 'খুব ভালো লাগছে। আইপিএলে আমার প্রথম শতক তৃতীয় ইনিংসেই। খুব ভালো লাগছে। এত দিন ধরে, গত তিন-চার মাস ধরে আইপিএলের জন্য যে অনুশীলন করে আসছি, সেটির ফল দেখা যাচ্ছে মাঠে। আইপিএলে সেঞ্চুরি করা স্বপ্নের মতোই।'
আইপিলের নিলামে বৈভবকে নিয়ে বেশ কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ রুপিতে তাকে দলে ভেড়ায় রাজস্থান। আইপিএলের অর্থের তবে সেই সময়ের ১৩ বছর বয়সী ক্রিকেটারকে এই অঙ্কে দলে নেওয়া মানে বিশেষ কিছুই। এরপরই আলোচনায় আসেন তিনি।
বৈভবকে নিয়ে আলোচনার সময় বারবার এসেছে তারা বাবার প্রসঙ্গও। ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর লড়াইয়ে অনেক ত্যাগ করেছেন বৈভবের বাবা। এ প্রসঙ্গে বৈভব বলেন, 'আমি এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি বাবা-মায়ের জন্য। ভোরে আমার অনুশীলনে যেতে হবে, এজন্য মা রাত দুটোয় ঘুম থেকে উঠে যেতেন। স্রেফ ঘণ্টা তিনেক ঘুমাতেন। উঠে আমার জন্য খাবার বানাতেন। বাবা কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন আমার জন্য। বড় ভাই সেটা সামলাতেন। অনেক কষ্টে চলছিল সংসার। কিন্তু বাবা আমার পেছনে লেগেই ছিল, ‘তুমি পারবে, তুমি করবে।’
১৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, 'ভগবান এ সব দেখেন। পরিশ্রম যারা করেন, তারা কখনও অসফল হন না। আজকে যতটুকু ফল মিলছে, যতটা সফল হচ্ছি, সব বাবা-মায়ের জন্যই। অনেক দিন থেকেই তৈরি হচ্ছিলাম। আজকে ফল পেয়ে ভালো লাগছে। সামনে আরও ভালো করতে চাই, দলের জন্য অবদান রাখতে চাই।'
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন