ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ ওভারে রোমাঞ্চ দেখলেন দর্শকরা
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
শেষ ওভারে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ। যেন প্রবল কোনও প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জীবন বাজি রেখে লড়াই। অথচ দলটি জিম্বাবুয়ে! যারা বিগত কয়েক আসর ধরে আইসিসি ইভেন্টে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের বিপক্ষে কঠিন লড়াই শেষে বাংলাদেশ চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৫ রানের জয় পায়। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪ রানের। প্রথম তিন বলে সাত রান নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে ফেলেছিল সফরকারীরা। ব্লেসিং মুজারাবানি বোকামি করে স্ট্যাম্পিং না হলে হয়তো জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো জিম্বাবুয়ে।
চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করলেও স্বাগতিকদের ব্যাটিং নিয়ে বিস্তর সমালেচনা হয়েছিল। তাই তো মিরপুরে অ্যাপ্রোচে বদল এনে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শুরুটা ভালোই করেছিল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। চোট থেকে ফিরে সৌম্যর ব্যাটিংয়ে ছন্দ খুঁজে পেতে কিছুটা কষ্ট হলেও জুনিয়র তামিম ছিলেন সাবলীল। তার পাওয়ার হিটিংয়ে বাংলাদেশ দল তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টিতে শতরানের জুটি গড়ে।
সৌম্যকে একপ্রান্তে রেখে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১০১ রানের জুটি গড়ে আউট হন তানজিদ। আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি। তবে শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে সাত চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এই ব্যাটারের আউটের পরই ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। এরপর একে একে বিদায় নেন সৌম্য, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসানরা। ইনজুরি থেকে ফিরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে একেবারে খারাপ করেননি সৌম্য। জংবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ৩৪ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪১ রানে।
শেষ দুই ওভারে জিম্বাবুয়ের জিততে প্রয়োজন ছিল ২১ রান। তবে ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে তুলতে পারে ৭ রান, সাথে হারায় একটি উইকেট। আইপিএলের দারুণ পারফরম্যান্স এই ম্যাচেও অব্যাহত রেখেছেন বাঁহাতি এই পেসার। মোস্তাফিজের পর অধিনায়ক শান্ত শেষ ওভারে সাকিবের হাতে বল তুলে দেন। ব্যাটিংয়ে মাত্র ১ রান করে আউট হলেও বল হাতে একেবারে খারাপ করেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। শেষ ওভারে জয়ের আটকাতে হতো ১৪ রান। একটি ছক্কা খেলেও দুটি উইকেট নিয়ে এক বল আগেই দলের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। অবশ্য ১৯ রানে তিন উইকেট নিয়ে দারুণ বোলিং করে দলের জয়ে অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ।
ম্যাচটি জিততে এতটা সংগ্রাম করতে হতো না বাংলাদেশের। যদি ক্যাচ না ছাড়তো। অন্তত চারটি ক্যাচ মিস করেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা ক্যাম্পবেলের ক্যাচটি শুরুতে ধরতে পারলে ম্যাচটি আরও আগেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্সের পর ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত হারের মুখে ফেলে দিয়েছিল স্বাগতিকদের। সামনেই বিশ্বকাপ। তার আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ের পারফরম্যান্স দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড
শেয়ার করুন