হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যালঘু অভিবাসীদের ওপর হামলা বেড়েছে
উদ্বিগ্ন মুসলিম অভিবাসিরা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর হঠাৎ করেই মুসলিম, হিস্পানিক এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু অভিবাসীদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সময় বিশেষ করে মুসলিমদের টার্গেট করে যেধরণের বক্তব্য রেখেছিলেন, তাকে এধরণের হামলার জন্য দায়ী করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে বসবাস করছে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী। বসবাসকারী এই অভিবাসীদের সংখ্যাগরিষ্ঠই হল মুসলিম। নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি এক অভিবাসী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এটা আমাদের জন্য খুব একটা সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব সাধারণ একটা উদারহরণ দিই”।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরের দিনের ঘটনার কথা বলতে থাকেন তিনি। “আমার ভাইয়ের মেয়ে বাসে করে কলেজে যাচ্ছিল। উনিশ বছর বয়স। সে হিজাব পড়ে। চারজন শ্বেতাঙ্গ দম্পতি তাকে অ্যাটাক করে । তার হিজাব ধরে টানাটানি করে, চিৎকার করে বলতে থাকে এ দেশ থেকে বের হয়ে যা। এটা তোদের দেশ না। গালমন্দ করতে থাকে”।মুসলিমদের নিষিদ্ধ করা হবে হিজাব নিষিদ্ধ করা হবে বলে মি. ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছেন, তারপর সকলেই কমবেশি এমন আচরণের শিকার হচ্ছেন বলে তিনি জানান। তিনি নিজেও ভীত একটি মনোভাব নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করেন বলে জানান। নির্বাচনের পরে ধরনের হামলা থামানোর কথা তো মি. ট্রাম্প বলেছেন। তাতে কি কোনও কাজ হবে বলে মনে করেন না এমন প্রশ্নে আমেরিকার এ বাসিন্দা বলেন, তাতে তিনি একমত হতে পারছেন না। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, নির্বাচনের একদিন পরে মি ট্রাম্পের নির্বাচনী ওয়েবসাইট থেকে মুসলিমদের নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত বক্তব্য সরিয়ে নেয়া হলেও, তৃতীয় দিনে আবার সেটি ওয়েবসাইটে উঠে আসে।
শেয়ার করুন