১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সামনে সন্ত্রাস বিরোধী বিক্ষোভ
সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আন্তর্জাতিক জনমত সোচ্চার এবং জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এ ব্যাপারে বিশ্বনেতাদের মতৈক্যের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপি সমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহবানে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। একইসাথে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে বিশ্বের রোল মডেল শেখ হাসিনাকে নিউইয়র্কে স্বাগত জানানো এবং সন্ত্রাসে লিপ্তদের প্রতি ধিক্কার, নিন্দাও জানানো হবে। এ কর্মসূচিকে ব্যাপকভাবে সফল করার আহবানে ‘এলায়েন্স অব বাংলাদেশী আমিরকান্স’ এর পক্ষ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের প্রধান ড. প্রদীপ রঞ্জন কর লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
প্রদীপ কর বলেন, মানবতায় বিশ্বাসী সবাইকে এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একত্রে লড়তে হবে। এই লড়াই এর অংশ হিসাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ঠিক ৩টায় জাতিসংঘের সামনে দ্যাগ হ্যামার্সজোল্ড পার্কে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এ সমাবেশ থেকে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক হামলায় ইমাম আলাউদ্দিন আকঞ্জি ও তারা মিয়া এবং কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার সময় খুন হন নাজমা খানম। এই সমাবেশ থেকে এসব নিরীহ মানুষ খুনের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হবে।
কম্যুনিটিভিত্তিক সম্প্রীতির বন্ধন আরো জোরদার কল্পে ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে সহযোগিতার দিগন্ত প্রসারের বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতা আশরাফুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মুকিত চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভানেত্রী মোর্শেদা জামান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা স্বীকৃতি বড়–য়া, মুক্তিযোদ্ধা বি এম জাকির হোসেন হিরু, কৃষকলীগ নেতা আলী আক্কাস ও একে চৌধূরী প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর ঢাকা সফরের সময় বঙ্গবন্ধুর ঘাতক রাশেদ চৌধুরী, একাত্তরের ঘাতক আশরাফুজ্জামান খানসহ বেশ ক’জন দন্ডিত অপরাধীকে বাংলাদেশে ফেরত নেয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে প্রতিটি প্রবাসীকে নিজ নিজ কংগ্রেসম্যানের সাথে লবিং চালাতে হবে।
শেয়ার করুন