আপডেট :

        নির্বাচনের ছাড়া এই মুহূর্তে বিএনপির কোনো রাজনীতি নেই

        হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ

        আসছে নতুন দল: উপদেষ্টা নাহিদ

        ঢাকায় এসে নিখোঁজ হওয়া সুবাকে দেখা গেল ক্যামেরায়

        ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ

        ইমিগ্রেন্ট ছাড়া একদিন: লস এঞ্জেলেসের প্রতিবাদ রাতেও অব্যাহত

        ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ

        মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ স্থগিত, চীনের সঙ্গেও আলোচনা হবে

        যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্ক চীনের

        নিউইয়র্কে বাড়ির সামনে বাংলাদেশিকে গুলি

        হাসিনা-রেহানাদের ৪ বাগানবাড়ি, আছে ডুপ্লেক্স ভবনও

        বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করার নির্দেশ

        এবার ইউরোপে শুল্ক আরোপের হুমকি

        মৌলভীবাজারে যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন আটক

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় আঘাত হানবে দুইটি ঝড়

        লস এঞ্জেলেসে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, ১০১ ফ্রিওয়েতে তীব্র যানজট

        প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে গ্র্যামিতে কান্ট্রি অ্যালবামের পুরস্কার

        অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ

        এলিমিনিটরে লড়াইয়ের আগে দলের শক্তিও বাড়ায় রংপুর

        কিছুদিন পর দেখব খুনিরা বাইরে

মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ শক্তিধর হচ্ছে যে দেশটি

মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ শক্তিধর হচ্ছে যে দেশটি

আবুদাবি, ১১ নভেম্বর- আরব বসন্তের পর আরব আমিরাত তাদের সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধিতে উঠেপড়ে লেগেছে। এক সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে দেশটি কদাচিৎ তাদের সেনাবাহিনীকে তুলে ধরেছে, আজ তারা ব্যাপক হারে তাদের যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, ফাইটার বিমানসহ নানা যুদ্ধাস্ত্রের সমাগম ঘটাচ্ছে। মাত্র ১০ মিলিয়ন মানুষের এই দেশটি তাদের চারদিকে সেনাবাহিনী দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এর সবচেয়ে বড় চিহ্নটি দেখা দিয়েছে যখন লিবিয়ার একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দিফিকে উৎখাতের আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইনে মিসরের সঙ্গে আরব আমিরাত এক ডজন যুদ্ধ বিমান দিয়েছিল। এটা ২০১১ সালের ঘটনা। এর সঙ্গে দেশটি আইএসআইএস-কে উৎখাতেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। ২০১৩ সালে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর এক হিসাবে দেখা যায়, আরব আমিরাত ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় করা দেশগুলোর মধ্যে ১৫তম অবস্থানে রয়েছে। গত দশ বছরে প্রতিরক্ষায় দেশটি খরচ দ্বিগুণ করেছে। সৌদি আরবের পরই এখন আরব আমিরাত তাদের ১৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেট নিয়ে প্রতিরক্ষার শক্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ২০১৫ সালে প্রতিরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করতে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি বাজেট রেখেছে তাদের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পার্সিয়ার উপসাগরীয় অঞ্চলের এই তেলসমৃদ্ধ দেশটি। রাজতান্ত্রিক দেশের দুবাই এবং আবু ধাবি এখন মধ্যপ্রাচ্যের সর্বোচ্চ সেনাশক্তিসম্পন্ন দুটো অঞ্চল হয়ে উঠছে। দেশটি স্বাধীনমতের বিদেশি পলিসি অনুযায়ী এখন আরব আমিরাত তাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে দৃঢ় করে তুলছে। একইসঙ্গে আইএসআইএসকে দমনে আমেরিকার সঙ্গে কাজ করছে ইউএই। এই জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে ৫টি আরব রাষ্ট্র আক্রমণে যোগ দিচ্ছে তাদের মধ্যে আরব আমিরাত একটি। দেশটি তাদের আল দাফরা এরাবেস-এ অস্ট্রেলিয়ান ফাইটার জেটগুলোকে অবস্থান নিতে দিচ্ছে। আইএসআইএস এর বিস্তৃতি রোধে অভ্যন্তরীন গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করছে আরব আমিরাত। তারা হরমুজ প্রণালী, লোহিত সাগর, বাব আল মান্দাব এবং দ্য গালফ অব আদেনসহ বিভিন্ন চ্যানেলে আইএসআইএসের অপারেশন রোধে সদা সতর্ক রয়েছে। নিজ নিজ দেশের জঙ্গীদের রুখে দিতে একটি জোট গঠনেরও কথা বলছে আরব আমিরাত, মিসর, সৌদি আরব এবং কুয়েত। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে আরব আমিরাতকে অর্থনৈতিক শক্তির আধার বলে গণ্য কারা হয়। তা ছাড়া দুবাই বিশ্ব অর্থব্যবস্থার কেন্দ্র বলে বিবেচিত হয়। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় আকারের গ্যাস ও তেলের মজুদ এ দেশেই রয়েছে। তাই এখানকার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো প্রয়োজন বলে মনে করে দেশটির হর্তা কর্তারা। আরব বসন্ত প্রমাণ করে দিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো নেতাই জনগণের রোষানল থেকে নিরাপদ নন। তা ছাড়া এখানকার রাজনৈতিক অবস্থা এবং নিরাপত্তাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন বলে বুঝতে শুরু করেছেন নেতারা। ইতিমধ্যে আরব আমিরাত কয়েক ডজন উগ্র মৌলবাদী আটকের মাধ্যমে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে। দেশের রক্ষণশীল নিয়মকানুন চরমপন্থীদের হুমকি বলে মনে করছেন। এদিকে, আরব আমিরাত গত জুন থেকে নতুন এক নিয়ম করেছে। ওই নিয়ম অনুযায়ী হাই স্কুল পাস করা ১৮-৩০ বছরের যুবকদের বাধ্যতামূলকভাবে ৯ মাসের জন্য প্রতিরক্ষায় কাজ করতে হবে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দুঃসময়ে আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষা খাতে শক্তিবৃদ্ধির ব্যাপক পরিকল্পনা দেশটির ভবিষ্যত কোনো বিশেষ লক্ষ্যের কথাই তুলে ধরে। আবুদাবি, ১১ নভেম্বর- আরব বসন্তের পর আরব আমিরাত তাদের সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধিতে উঠেপড়ে লেগেছে। এক সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে দেশটি কদাচিৎ তাদের সেনাবাহিনীকে তুলে ধরেছে, আজ তারা ব্যাপক হারে তাদের যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, ফাইটার বিমানসহ নানা যুদ্ধাস্ত্রের সমাগম ঘটাচ্ছে। মাত্র ১০ মিলিয়ন মানুষের এই দেশটি তাদের চারদিকে সেনাবাহিনী দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এর সবচেয়ে বড় চিহ্নটি দেখা দিয়েছে যখন লিবিয়ার একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দিফিকে উৎখাতের আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইনে মিসরের সঙ্গে আরব আমিরাত এক ডজন যুদ্ধ বিমান দিয়েছিল। এটা ২০১১ সালের ঘটনা। এর সঙ্গে দেশটি আইএসআইএস-কে উৎখাতেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। ২০১৩ সালে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর এক হিসাবে দেখা যায়, আরব আমিরাত ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় করা দেশগুলোর মধ্যে ১৫তম অবস্থানে রয়েছে। গত দশ বছরে প্রতিরক্ষায় দেশটি খরচ দ্বিগুণ করেছে। সৌদি আরবের পরই এখন আরব আমিরাত তাদের ১৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেট নিয়ে প্রতিরক্ষার শক্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ২০১৫ সালে প্রতিরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করতে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি বাজেট রেখেছে তাদের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পার্সিয়ার উপসাগরীয় অঞ্চলের এই তেলসমৃদ্ধ দেশটি। রাজতান্ত্রিক দেশের দুবাই এবং আবু ধাবি এখন মধ্যপ্রাচ্যের সর্বোচ্চ সেনাশক্তিসম্পন্ন দুটো অঞ্চল হয়ে উঠছে। দেশটি স্বাধীনমতের বিদেশি পলিসি অনুযায়ী এখন আরব আমিরাত তাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে দৃঢ় করে তুলছে। একইসঙ্গে আইএসআইএসকে দমনে আমেরিকার সঙ্গে কাজ করছে ইউএই। এই জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে ৫টি আরব রাষ্ট্র আক্রমণে যোগ দিচ্ছে তাদের মধ্যে আরব আমিরাত একটি। দেশটি তাদের আল দাফরা এরাবেস-এ অস্ট্রেলিয়ান ফাইটার জেটগুলোকে অবস্থান নিতে দিচ্ছে। আইএসআইএস এর বিস্তৃতি রোধে অভ্যন্তরীন গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করছে আরব আমিরাত। তারা হরমুজ প্রণালী, লোহিত সাগর, বাব আল মান্দাব এবং দ্য গালফ অব আদেনসহ বিভিন্ন চ্যানেলে আইএসআইএসের অপারেশন রোধে সদা সতর্ক রয়েছে। নিজ নিজ দেশের জঙ্গীদের রুখে দিতে একটি জোট গঠনেরও কথা বলছে আরব আমিরাত, মিসর, সৌদি আরব এবং কুয়েত। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে আরব আমিরাতকে অর্থনৈতিক শক্তির আধার বলে গণ্য কারা হয়। তা ছাড়া দুবাই বিশ্ব অর্থব্যবস্থার কেন্দ্র বলে বিবেচিত হয়। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় আকারের গ্যাস ও তেলের মজুদ এ দেশেই রয়েছে। তাই এখানকার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো প্রয়োজন বলে মনে করে দেশটির হর্তা কর্তারা। আরব বসন্ত প্রমাণ করে দিয়েছে যে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো নেতাই জনগণের রোষানল থেকে নিরাপদ নন। তা ছাড়া এখানকার রাজনৈতিক অবস্থা এবং নিরাপত্তাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন বলে বুঝতে শুরু করেছেন নেতারা। ইতিমধ্যে আরব আমিরাত কয়েক ডজন উগ্র মৌলবাদী আটকের মাধ্যমে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে। দেশের রক্ষণশীল নিয়মকানুন চরমপন্থীদের হুমকি বলে মনে করছেন। এদিকে, আরব আমিরাত গত জুন থেকে নতুন এক নিয়ম করেছে। ওই নিয়ম অনুযায়ী হাই স্কুল পাস করা ১৮-৩০ বছরের যুবকদের বাধ্যতামূলকভাবে ৯ মাসের জন্য প্রতিরক্ষায় কাজ করতে হবে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দুঃসময়ে আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষা খাতে শক্তিবৃদ্ধির ব্যাপক পরিকল্পনা দেশটির ভবিষ্যত কোনো বিশেষ লক্ষ্যের কথাই তুলে ধরে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত