পোমোনার অটো বডি শপে কাউন্টি ও ফেডারেল এজেন্টদের অভিযান
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
রিভারসাইড কাউন্টির ডেপুটিরা ও ফেডারেল এজেন্টরা শুক্রবার সকালে পোমোনার একটি অটো বডি শপে অভিযান চালিয়েছে। লস এঞ্জেলেসের এই শহরতলিতে এটি সাম্প্রতিকতম ফেডারেল অভিযানের ঘটনা।
পোমোনা শহরের মেয়র টিম স্যান্ডোভাল স্থানীয় সংবাদমাধ্যম KTLA-কে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ইস্ট হল্ট অ্যাভিনিউর ২০০ নম্বর ব্লকের ওই দোকানের বাইরে উপস্থিত ছিলেন এবং এক প্রত্যক্ষদর্শীর সরবরাহকৃত ভিডিও ফুটেজেও তাকে দেখা গেছে।
রিভারসাইড কাউন্টি শেরিফ অফিস জানিয়েছে, এই অভিযানে কাউন্টি কর্তৃপক্ষ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ যৌথভাবে অংশ নেয় এবং একটি মাদক সংশ্লিষ্ট তল্লাশি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়।
"এটি একটি চলমান তদন্ত, তাই এই মুহূর্তে আরও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হবে না," জানায় শেরিফ বিভাগ।
শুক্রবারের এই অভিযান আসে একই সপ্তাহের মঙ্গলবারের আরেকটি অভিযানের পর, যেখানে পোমোনার একটি হোম ডিপো থেকে প্রায় ২৫ জন দিনমজুরকে আটক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে অভিবাসন অধিকারকর্মীরা। ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন জানায়, তারা মূলত একজন সক্রিয় গ্রেফতারি পরোয়ানাধারী ব্যক্তিকে লক্ষ্য করেছিল, তবে অভিযানের সময় অতিরিক্ত নয়জন "অবৈধ অভিবাসী"কেও আটক করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে চলমান কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এসব অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, যা পোমোনাসহ আশপাশের লাতিনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে দিয়েছে।
"আমরা শহরে ফেডারেল এজেন্টদের আকস্মিক আগমনে এবং যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে তাতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন," বলেন মেয়র স্যান্ডোভাল। "পোমোনা এবং সারা দেশে যা ঘটছে, তাতে মানুষ ভীতিতে বাস করছে। তারা নিজেদের সম্প্রদায়েই আতঙ্কিত অনুভব করছে।"
স্যান্ডোভাল আরও জানান, শুক্রবারের অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে তিনি মনে করেন।
একইদিন, ফেডারেল সরকার ঘোষণা দেয় যে, তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৈধ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কড়াকড়ির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে মামলা দায়েরের পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
দেশজুড়ে ১,২০০-রও বেশি শিক্ষার্থী হঠাৎ তাদের বৈধ স্ট্যাটাস হারান বা ভিসা বাতিলের মুখে পড়েন, যার ফলে তারা বহিষ্কারের ঝুঁকিতে পড়েন। অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তাদের রেকর্ডে সামান্য অপরাধ ছিল বা তারা জানতেনই না কেন তাদের টার্গেট করা হয়েছে। কেউ কেউ দেশ ছেড়ে চলে গেছেন, আবার কেউ কেউ আত্মগোপন করেছেন বা শ্রেণিকক্ষে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন