মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ভাতিজার দা য়ের আ ঘা তে চাচা গুরুতর আ হ ত
গত ছয় বছরে লস এঞ্জেলেসের এক-তৃতীয়াংশ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গৃহহীনদের সম্পৃক্ততা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস/ওএম
গত ছয় বছরে লস এঞ্জেলেস শহরের অগ্নিকাণ্ডের এক-তৃতীয়াংশের সঙ্গেই গৃহহীন মানুষ জড়িত ছিল—এমনই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে লস এঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্টের (LAFD) নতুন এক প্রতিবেদনে।
ইতিপূর্বে LAFD-এর সাড়া দেওয়ার সময়সীমা জাতীয় মানদণ্ডে না-পৌঁছানোর বিষয়টি প্রকাশ করেছিল ‘7 on Your Side Investigates Team’। এবার অন্তর্বর্তীকালীন দমকলপ্রধান রনি ভিলানুভার একটি মেমোতে বলা হয়েছে, গৃহহীনদের সহায়তায় ক্রমবর্ধমান কল এবং জরুরি সেবার চাপে সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪/২০২৫ অর্থবছরে গৃহহীন সমস্যা মোকাবেলায় শহরের বাজেট ছিল প্রায় ৯৬১ মিলিয়ন ডলার। অথচ একই সময় ফায়ার ডিপার্টমেন্টের মোট বাজেট ছিল তার চেয়েও কম—মাত্র ৮৩৭ মিলিয়ন ডলার। বিষয়টিকে “চমকপ্রদ” বলে অভিহিত করেছেন ইউনাইটেড ফায়ারফাইটারস অব লস এঞ্জেলেসের সভাপতি ফ্রেডি এসকোবার।
তিনি বলেন, “আমরা গৃহহীনতা অপরাধ হিসেবে দেখতে চাই না, তবে গৃহহীনদের জন্য নির্দিষ্টভাবে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। আমরা আরও তহবিল চাই।”
মেমোতে আরও জানানো হয়, গত ছয় বছরে বিভাগের যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাড়া দিতে হয়েছে, তার ৩২.৯১ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে গৃহহীনদের সঙ্গে যুক্ত।
এসকোবার বলেন, “সমাধান কী, আমি জানি না। তবে আমি বলতে পারি—আমার প্রতিনিধিত্বকারী সদস্যরা এই ধরণের বিশাল কল-লোড আর বহন করতে পারছে না।”
মেমোতে উল্লেখ আছে, গত দশ বছরে ‘রাবিশ ফায়ার’ বা আবর্জনায় আগুন লাগার ঘটনা বেড়েছে ৪৭৫%। এসব আগুনের প্রায় অর্ধেকেই কোনো গৃহহীন ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। বাড়তি এই কল ফায়ার বিভাগের সাড়া দেওয়ার গড় সময়ও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
১৯৬০ সালে LAFD-এর ছিল ১১২টি ফায়ার স্টেশন। অথচ আজ জনসংখ্যা বাড়লেও স্টেশনের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০৬টিতে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের এক সপ্তাহ পরই লস এঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস তাঁর প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করবেন। তাঁর মুখপাত্র জ্যাক সিডল বলেন, “এই প্রতিবেদন দেখায় গৃহহীন সমস্যা সমাধানে কত অর্থ ব্যয় হচ্ছে—যা কমে আসবে যখন আরও মানুষ ঘরে ফিরবে। আমরা স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধানে কাজ করছি, কারণ কোনো কিছু না করেই বসে থাকার খরচ অনেক বেশি।”
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন