ডোমিনিকান রিপাবলিকে নিখোঁজ সুদিক্ষা কোনানকির সন্ধানে জোর তল্লাশি চলছে
জিন হ্যাকম্যানের কুকুরের মৃত্যু ক্ষুধা ও পানিশূন্যতার কারণে, প্রতিবেদন প্রকাশ
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
অস্কারজয়ী অভিনেতা জিন হ্যাকম্যান ও তার স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়ার কুকুরের মৃত্যু পানিশূন্যতা ও অপুষ্টির কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান কেলপি মিশ্র প্রজাতির কুকুর, যার নাম ছিল জিনফ্যান্ডেল বা "জিন্না", গত ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকম্যান দম্পতির সঙ্গে তাদের নিউ মেক্সিকোর বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কুকুরটিকে একটি খাঁচার ভেতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা বেটসি আরাকাওয়ার মরদেহ থেকে ১০-১৫ ফুট দূরে ছিল।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সান্তা ফে অ্যানিমাল কন্ট্রোলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুকুরটির শরীরে "গভীর পচন" দেখা গেছে এবং কিছু অংশ মমির মতো শুকিয়ে গিয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কুকুরটির মৃত্যুতে কোনো সংক্রমণ, আঘাত বা বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার পাকস্থলী ছিল প্রায় খালি, যেখানে সামান্য পরিমাণ চুল ও পিত্তরস ছাড়া আর কিছুই ছিল না। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, "যদি কুকুরটি একটি বন্ধ জায়গায় খাবার বা পানির অভাবে আটকে থাকত, তবে তার মৃত্যু পানিশূন্যতা ও ক্ষুধার কারণে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।"
৯৫ বছর বয়সী জিন হ্যাকম্যান হৃদরোগ ও আলঝেইমারের কারণে মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে, এবং তার মৃত্যু ১৮ ফেব্রুয়ারির দিকে হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তার স্ত্রী, ৬৫ বছর বয়সী বেটসি আরাকাওয়া, ১১ ফেব্রুয়ারির দিকে হান্টাভাইরাস পালমোনারি সিনড্রোমে মারা যান, যা ইঁদুরের মল-মূত্র বা লালার মাধ্যমে সংক্রামিত একটি বিরল রোগ। তার শরীরে পচনের চিহ্ন ছিল, বিশেষ করে হাত ও পায়ের অংশে মমির মতো শুকিয়ে যাওয়া লক্ষ করা গেছে।
সান্তা ফে কাউন্টির শেরিফ আদান মেন্ডোজা জানিয়েছেন, হ্যাকম্যান সম্ভবত তার মৃত স্ত্রীর সঙ্গে এক সপ্তাহ বাড়িতেই ছিলেন, এরপর তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তার পেটে কোনো খাবারের অস্তিত্ব ছিল না, তবে তিনি পানিশূন্য ছিলেন না বলে জানা গেছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাদের বাড়িতে একটি ওয়েলফেয়ার চেক করতে গেলে তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ বোঝা যায়নি।
তাদের আরও দুটি কুকুর জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা কুকুরের দরজা দিয়ে বের হতে পারত। এর মধ্যে একটি কুকুর বেটসির দেহের কাছে এবং অন্যটি বাইরে পাওয়া যায়।
সান্তা ফে টেইলস নামক একটি কুকুর বোর্ডিং সেন্টারের মালিক জোয়ি পাডিলা জানান, তিনি এখন বেঁচে থাকা দুই কুকুরের দেখাশোনা করছেন।
"ওরা নিরাপদে আছে এবং ধীরে ধীরে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে," বলেন পাডিলা। "আমি বেটসির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কুকুরগুলোর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের যত্ন নেব।"
তিনি আরও বলেন, "জিন ও বেটসি অসাধারণ বন্ধু এবং প্রাণীবন্ধু ছিলেন। এই কুকুরগুলো ছিল বেটসির সন্তানের মতো।"
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন