লস এঞ্জেলেস কাউন্টির বাসিন্দাদের জন্য কর ফাইলিংয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে
লস এঞ্জেলেসে ২০,০০০ অভিবাসী পাচারের অভিযোগে চক্রের দুই নেতা গ্রেফতার
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্তৃপক্ষ লস এঞ্জেলেসে অভিবাসী পাচারের অভিযোগে এক বিশাল চক্রের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ চক্রটি গত পাঁচ বছরে গুয়াতেমালা থেকে ২০,০০০ মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছে এবং প্রতিজনের কাছ থেকে ১৫,০০০ থেকে ১৮,০০০ ডলার পর্যন্ত আদায় করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন এ চক্রের মূলহোতা এডুয়ার্ডো ডোমিঙ্গো রেনোজ-মাতুল, যিনি "তুর্কো" নামে পরিচিত, এবং তার সহযোগী ক্রিস্টোবাল মেজিয়া-চাজ। শুক্রবার তাদের আটক করা হয় এবং তারা পাচারের অভিযোগে আনা একাধিক অভিযোগে আদালতে নির্দোষ দাবি করেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন অ্যাটর্নি অফিস। একজন ফেডারেল বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী এপ্রিল মাসে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, রেনোজ-মাতুল দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সক্রিয় থাকা একটি বৃহৎ পাচার চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। এ চক্রটি মূলত গুয়াতেমালা থেকে লোকজন পাচার করত এবং তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করাতে সহায়তা করত। মার্কিন প্রসিকিউটরদের দাবি, এই চক্রের কারণে ৭ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একটি ৪ বছর বয়সী শিশুও ছিল। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ওকলাহোমার এক সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ির চালক হোসে প্যাক্সটর-অক্সলাজ বর্তমানে ওকলাহোমায় আটক আছেন এবং নতুন অভিযোগপত্রে তার নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া চক্রের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হেলমার অবিসপো-হার্নান্দেজ, যিনি গাড়ির চালকদের তত্ত্বাবধান করতেন, তাকেও অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে গুয়াতেমালায় পলাতক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসিকিউটরদের ভাষ্যমতে, রেনোজ-মাতুল গুয়াতেমালায় তার সহযোগীদের মাধ্যমে অভিবাসীদের প্রলুব্ধ করতেন এবং পাচারের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন। যেসব অভিবাসী পুরো টাকা দিতে পারতেন না, তাদের লস এঞ্জেলেস শহরের কেন্দ্রস্থলের একটি বাড়িতে জিম্মি রাখা হতো।
মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান জোসেফ টি. ম্যাকন্যালি বলেছেন, "এই পাচার চক্রগুলোর মানব জীবনের প্রতি কোনো মূল্যবোধ নেই, বরং তাদের কর্মকাণ্ড মানুষের প্রাণহানির কারণ হচ্ছে। এই গ্রেফতার ও অভিযোগপত্রের মাধ্যমে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় এবং বিপজ্জনক পাচার চক্র ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি।" যদি আসামিরা সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাদের মৃত্যুদণ্ড বা সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন