লস এঞ্জেলেসে তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। ২০শে নভেম্বর প্রথমপ্রহরে, রাত ১২:০১মিনিটে আনন্দঘন পরিবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে একসঙ্গেজন্মদিনের কেক কাটেন ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র সভাপতি মোঃ আঃ বাছিত।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র সভাপতি মোঃ আঃ বাছিত বলেন, 'তারুণ্যের অহংকার দেশনায়কতারেক রহমান হলেন আওয়ামী লীগের জন্য মূর্ত্যমান আতঙ্ক। আল্লাহর অশেষ রহমত ওদেশবাসীর দোয়ায় তারেক রহমান শীঘ্রই সুস্হ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন, ভোটচোর আওয়ামীলীগ সেটাই ভয় পায়। ষড়যন্ত্রকারীরা তারেক রহমানকে চিরতরে পঙ্গু করতে চাইলেওব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান অবৈধ সরকার জনগণের ভোটচুরি করে ক্ষমতা দখল করে আছে।দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় দেশনায়ক তারেক রহমান ও বিএনপি'র নেতৃত্বেগণ-আন্দোলন ছাড়া আর কোনও পথ নাই।'
তারেক রহমান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ হতে মাধ্যমিক ও নটরডেম কলেজ থেকেউচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিকসর্ম্পক বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তারেক রহমান পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছেনিয়ে বস্ত্রশিল্প ও নৌ-যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেন। বর্তমানে তারেক রহমানলন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্র পড়ছেন।
পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলেরবগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে যোগদান করে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনাকরেন। আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনে যোগ দেয়ার পূর্বেই তারেক রাজনীতিতে অত্যন্তসক্রিয় ছিলেন।
১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক রহমান তার মা বেগম খালেদা জিয়াররাজনৈতিক সহচর হিসেবে সারা দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ২০০১ সালেরনির্বাচনে তারেক রহমান মা বেগম জিয়ার প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি পৃথকপরিকল্পনায় দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালান। মূলত ২০০১ সালের নির্বাচনীপ্রচারণায় তার অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতির প্রথম সারিতে তারেক রহমানের সক্রিয়আগমন ঘটে ।
২০০২ সালে তারেক রহমান দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
দলের ঊর্দ্ধতন পর্যায়ে পদ লাভের পরপরই তারেক রহমান দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। মূল সংগঠনসহসহযোগী সংগঠন যেমন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ইত্যাদিআয়োজিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তারেক রহমানকর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ও মাঠপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ওমতামত গ্রহণ করেন। মূলত এই জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীদের তরুণঅংশটির মাঝে তারেক রহমান শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানেরপরিচিত থেকে বেরিয়ে এসে দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতিলাভ করেন।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্হিতছিলেন সভাপতি মোঃ আঃ বাছিত, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুর্শেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতিমাহবুবুর রহমান শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক বদরুল চৌধুরী শিপলু ও এম ওয়াহিদ রহমান,যুব বিষয়ক সম্পাদক লায়েক আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দনাসিরউদ্দিন জেবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ খান ও মোয়াজ্জেম আহমেদ রাসেল,কোষাদক্ষ শাহীন হক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মিকায়েল খান রাসেল -সহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।