লস এঞ্জেলেসের আন্তঃধর্মীয় সমাবেশে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের স্যান বার্নারডিনো সিটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৪ জন নিহতের পর আমেরিকাজুড়ে মুসলিমবিদ্বেষী কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে লস এঞ্জেলেসে সন্ত্রাসবিরোধী এক আন্তঃধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার লস এঞ্জেলেস সিটিহলের সম্মুখে সিটি মেয়র এরিক গার্সিটির নেতৃত্বে এ সভায় দুই সহস্রাধিক লোক অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই। ধর্ম পালন করলে কোনো লোক সন্ত্রাসী হতে পারে না।
সন্ত্রাসের সাথে ইসলামকে জড়িত করার প্রবণতার সমালোচনা করে তারা বলেন, আমেরিকায় সর্বশেষ ২৫টি সন্ত্রাসী হামলার মধ্যে মাত্র দুটির সাথে ধর্মের সংযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্যান বার্নারডিনো সিটি মেয়র ক্যারি ডেভিস, মন্টেরি পার্ক সিটি মেয়র পিটার চ্যন, বেল সিটির মেয়র আলী সালেহ, স্যান গাব্রিয়েল সিটি মেয়র জ্যসন পু, আর্টেশিয়া সিটি মেয়র মিগুয়েল ক্যানালেস, কালভার সিটির মেয়র মেঘান স্যাহলি ওয়েলস, লস এঞ্জেলেস সিটি চিফ পুলিশ কমিশনার চ্যারলি ব্যক, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. মুজ্জাম্মেল সিদ্দিকী, ইমাম মুস্তফা আল কাজিয়ানি, সালাম আল মারিয়াতী সহ মুসলিম, খ্রিষ্টান এবং ইহুদি ধর্মীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সভায় বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মমিনুল হক বাচ্চু, শামীম আহাম্মেদ, আহমেদ কবির, আবুল ইবরাহীম, মারুফ ইসলাম, নাজমুল চৌধুরী, মুনার জোনাল প্রেসিডেন্ট আনিসুর রহমান, চ্যাপ্টার সভাপতি আলী আকবর, সেক্রেটারি আশরাফ হোসেন আকবর, আব্দুল মুকিত আযাদ, শামসুল আরেফিন হাসিব, আওলাদ হুসাইন, রোকেয়া রহমান রিনা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর স্যান বার্নারডিনোতে সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক ও তাসফিন মালিক নামের এক মুসলিম দম্পতির গুলিতে ১৪ জন নিহত এবং ২২ জন হন। পুলিশের গুলিতে মারা যান ওই দম্পতিও। তারা ইসলামিক স্টেটের সমর্থক ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে
শেয়ার করুন