বেগম জিয়ার গাড়িবহরে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া'র গাড়িবহরে আ'লীগের সন্ত্রাসী হামলা ও
ভাংচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি। গত ২০শে এপৃল,
সোমবার সন্ধ্যার পরে, লস এঞ্জেলেসের সুপরিচিত আলাদিন রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত তাৎক্ষণিক এ
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে স্হানীয় বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক
সাধারণ প্রবাসীরাও অংশ নিয়েছেন।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র সভাপতি মো.আ.বাছিত বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় কাওরান বাজারে
বিএনপি চেয়ারপারসনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়িবহরে ভাঙচুর ও সশস্ত্র হামলা
চালিয়েছে সরকারের লোকজন। তারা অ্যাম্বুলেন্সও ভাঙচুর করেছে। এটি সরকারের ফ্যাসিবাদী ও
অগণতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। বাধা সত্ত্বেও
খালেদা জিয়া সিটি নির্বাচনে প্রচারাভিযান অব্যাহত রেখেছেন মন্তব্য করেন। মো.আ.বাছিত বলেন,
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহায়তায় বেগম খালেদা জিয়ার প্রচারাভিযানের প্রতিটি স্থানে
বাধা দেয়া সত্ত্বেও তিনি তার প্রচারভিযান অব্যাহত রেখেছেন। হাজারো বাধা এলেও বেগম খালেদা
জিয়া প্রচারণা অব্যাহত রাখবেন। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বর্তমান সরকার
মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের আচরণ ও কার্যকলাপে তা প্রতীয়মান হচ্ছে না। আসন্ন সিটি
করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী জনসংযোগে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা
জিয়াকে সরকারদলীয় নেতাকর্মী কর্তৃক বাধা সৃষ্টি এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আমরা আশা করি, সরকার
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণতান্ত্রিক আচরণের পরিচয় দিবে এবং নির্বাচনী প্রচারকাজে সব দলের
সমান সুযোগ তৈরি করবে।
আমরা মনে করি, বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও
রাজনৈতিক মামলা দিয়ে তাদেরকে নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে রেখে কখনো ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’
তৈরি হবে না।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি আয়োজিত এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্হিত ছিলেন ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র
সভাপতি মো.আ.বাছিত, লস এঞ্জেলেসের প্রবাসী কম্যূনিটির সিনিয়র নেতা মেজর এনামুল
হামিদ(অবঃ), ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি মুর্শেদুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক এম
ওয়াহিদ রহমান, বদরুল আ.চৌধুরী শিপলু, কেন্দ্রীয় নেতা আহসান হাফিজ রুমি, ইলিয়াস(টাইগার)
শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাওলাদার, যুব বিষয়ক সম্পাদক লায়েক আহমেদ, প্রচার ও
প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ নাসিরুদ্দিন জেবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ খান সহ বিএনপি'র
প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীগণ।
বিক্ষোভ সমাবেশের বক্তব্যে নেতৃবৃন্দগণ বলেন, সিটি নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সরকার এ
ধরনের ফ্যাসিবাদী ও সন্ত্রাসী তান্ডবের আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এটি সরকারের দুর্বলতারই প্রতিফলন।
এ ধরনের ঘটনা যত ঘটবে তাদের ভোট ততই কমবে। ২৮ এপ্রিল জনগণ ভোটের মাধ্যমে এর
জবাব দেবে। তিন সিটিতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের বিপুল বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী ও
তার মন্ত্রীরা অতি সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনকে নির্বাচনী প্রচারণায় বেরুলে প্রতিহত করার যে
বক্তব্য দিয়েছেন সেটাই তাদের সশস্ত্র গুন্ডাদের আজকের (গতকাল) সন্ত্রাসী হামলায় উসকানি
দিয়েছে। পুলিশের আইজিপিও নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় তার বক্তব্যে
ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনে আইন প্রণয়নের জন্য খোলাখুলি বক্তব্য
দিয়েছেন। এ সবই উসকানি দিয়েছে আওয়ামী গুন্ডা বাহিনীকে খালেদা জিয়ার ওপর হামলার জন্য।
বক্তারা আরও বলেন, ২০ দলীয় জোট নেত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়ার গাড়ির বহরে কাওরান বাজারে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে যুবলীগ-ছাত্রলীগের
সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার
না করলে সরকারকে কঠিন মাশুল গুনতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, খালেদা জিয়া ২০ দলীয় জোটের
মেয়রদের পক্ষে প্রচার অভিযানে নামায় শাসকগোষ্ঠী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরকারি দলের সন্ত্রাসী
বাহিনীরা প্রচার অভিযানের দ্বিতীয় দিনে উত্তরায় কালো পতাকা প্রদর্শন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে।
গতকাল সকালেই খালেদা জিয়ার বাস ভবন থেকে পুলিশ প্রত্যাহারে ১২ ঘন্টা অতিবাহিত হতে না
হতেই তার উপর যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা প্রমাণ করে নেত্রীকে হত্যা করাই তাদের উদ্দেশ্য
ছিল। জনগণ আগামী ২৮ এপ্রিল তিন সিটি নির্বাচনে গুলি, বুলেট, রক্তের জবাব ব্যালটের মাধ্যমে
দেবে বলে নেতৃবৃন্দ আশা ব্যক্ত করেন।
শেয়ার করুন