আপডেট :

        আহত বিড়াল ফেলে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

        সৎমায়ের হাতে ২০ বছর বন্দী যুবক!

        পিকো রিভেরায় টর্নেডোর আঘাত, ভেঙে পড়েছে গাছ ও বিদ্যুৎ লাইন

        টাকা পরিশোধ না করলে ন্যাটোর পাশে থাকব না বললেন ট্রাম্প

        এলডিসি থেকে উত্তরণ আগামী বছরই

        ‘লজ্জিত, ক্ষমার অযোগ্য আমরা’

        পরিচয় চুরি ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি

        শক্তিশালী ঝড়ের আঘাতে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ে তুষারপাত, বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাস

        কুয়েতে বন্দি ছয় মার্কিন নাগরিক মুক্ত, যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলেন

        আজ বিকেলে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ‘ব্লাড ওয়ার্ম মুন’ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখার সেরা সময়

        প্রতারণার মাধ্যমে এফইএমএ’র ত্রাণ তহবিল আত্মসাতের অভিযোগ

        ৭১ বছর বয়সী হাইকার সান গ্যাব্রিয়েল পাহাড়ে নিখোঁজ

        লোমা লিন্ডা হাসপাতালে 'সোয়াটিং কল' এ কর্তৃপক্ষের সায়

        ক্যালিফোর্নিয়ার সৈকতে সি লায়ন হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্তের সন্ধানে পুলিশ

        কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার শপথ নিবেন কার্নি

        শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

        আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর: বাপ্পারাজ

        মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশেষ সম্মান জানালো আইসিসি

        যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াও চাপে

শিশুদের কার্টুনের আসক্তি দূর করতে যা করবেন

শিশুদের কার্টুনের আসক্তি দূর করতে যা করবেন

এখনকার শিশুরা কার্টুন দেখতে খুব পছন্দ করে। তবে এটা আসক্তির পর্যায়ে গেলে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো কার্টুন না চালালে তারা খেতে চায় না।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন বলছে, কার্টুন দেখে নানা ধরনের উদ্ভট আচরণ শিখে শিশুরা। এটা খুবই স্বাভাবিক। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। তারা যা দেখে তাই করতে পছন্দ করে। এ কারণে শিশুরা যে কার্টুন দেখে সেটা যেন মানসম্পন্ন হয়, এ ব্যাপারটি নিশ্চিতের চেষ্টা করতে হবে।

শিশুদের কার্টুন দেখা বিষয়ে মনোবিদ কায়লা বইস ও ব্র্যাড বুশম্যান মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে একটি গবেষণা করেন। এতে দেখা যায়, দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৩২ ঘণ্টা কার্টুন দেখে। ছয় থেকে এগারো বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ২৮ ঘণ্টা।

গবেষণায় দেখা গেছে, কার্টুন দেখার ফলে বদলে যায় শিশুদের আচার-আচরণ। নিরীহ বাধ্য সন্তান হয়ে উঠতে পারে অবাধ্য-হিংস্র। আবার দেশীয় সংস্কৃতির বদলে তারা রপ্ত করতে পারে বিদেশি রীতি-নীতি যা নিজেদের সমাজে একেবারেই বেমানান।

এদিকে ভারতের গুজরাটে পরিচালিত এক গবেষণা বলছে, কার্টুন দেখলে শতকরা আশি শতাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের মধ্যে পরিবর্তন আসে। এমনকি কার্টুন শিশুদের মাদকাসক্তির দিকেও নিয়ে যেতে পারে।

এ অবস্থা ঠেকাতে কী করবেন তাহলে? সবার আগে শিশুদের জন্য সারা দিনে কার্টুন দেখার সর্বোচ্চ সময় বেঁধে দিন দেড় ঘণ্টা। শিশুকে কার্টুন দেখতে দেয়ার আগে নিজে ভালো করে সেগুলো দেখুন। এরপর যেটা কম ক্ষতিকারক মনে হবে সেটাই তাকে দেখতে দিন।

শিশুর কার্টুনের আসক্তি দূর করতে সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে শিশুকে নিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়ানো। নিয়মিত এমনটি করলে শিশুর স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে তেমনি কার্টুনের প্রতিও তার আসক্তি কমবে। শিশুকে বাসায় না রেখে তাকে বাইরে খেলতে দিন।

এছাড়া রাতে ঘুমানোর সময় তাকে গল্প শোনানোর অভ্যাস করুন। দেখবেন, আপনার শিশু আপনার চাওয়া মতোই বেড়ে উঠছে।

এলএবাংলাটাইমস/এলএস/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত