যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করে বহিষ্কার কার্যক্রমে বাধা পেলেন ট্রাম্প
মার্কিন দূতাবাসর্কমীদের পরিবারকে ভেনেজুয়েলা ত্যাগের নির্দেশ
কারাকাসে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসকর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরকে ভেনেজুয়েলা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সেই সঙ্গে দেশটিতে চরম রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়ায় সেখানে থাকা মার্কিন কর্মীদের স্বেচ্ছায় স্বদেশে ফেরার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেয়া হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই নির্দেশনায় সামাজিক অস্থিরতা, সংঘাত এবং খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতির কারণে মার্কিন নাগরিকদের দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশ সফরের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
আগামী রবিবার ভেনেজুয়েলায় আনুষ্ঠানিক এক গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে এমন একটি নতুন আইনসভার প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে আইন প্রণেতারা সংবিধান সংশোধন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির ক্ষমতা রাখবে। সমালোচকরা বলছেন, নতুন এই আইনসভা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর হাতকে বরং আরো শক্তিশালী করবে।
বিক্ষুব্ধ বিরোধীরা মাদুরোর ক্ষমতা বাড়ানোর এ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। আন্দোলনটি ধীরে ধীরে ২০১৪ সালের মতো ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠেছে। এতে এখন পর্যন্ত বহু মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটির বিরোধী দল বিতর্কিত এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে দেশব্যাপী ধর্মঘট পালনে সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, বুধবার ভেনেজুয়েলার বর্তমান ও সাবেক
১৩ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য
দিয়ে মাদুরো প্রশাসনের এসব কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে রাখা সব সম্পদ জব্দ,
দেশটিতে তাদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ব্যবসা করার অধিকার
খর্ব করা হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেছেন মাদুরো।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদুরোকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ভেনেজুয়েলায় রবিবার গণভোট অনুষ্ঠিত হলে দেশটির ওপর ‘শক্ত ও দ্রুত অর্থনৈতিক অবরোধ’ আরোপ করা হবে।
শেয়ার করুন