ডোমিনিকান রিপাবলিকে নিখোঁজ সুদিক্ষা কোনানকির সন্ধানে জোর তল্লাশি চলছে
ক্ষতিপূরণ আদায়ে আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করল কাতার
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন অবরোধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কয়েক হাজার মামলা লড়তে এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে সুইজারল্যান্ডের একটি আইন প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছে কাতার।
কাতারের জাতীয় মানবাধিকার কমিটি (এনএইচআরসি) ও সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক আইন প্রতিষ্ঠান লালিভ-এর মধ্যে শনিবার এ-সম্পর্কিত একটি চুক্তি হয়েছে।
অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত কাতারের ২ হাজার ৪৫০ নাগরিক ও প্রাবাসীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলাগুলো লড়বে লালিভ। গণ-মামলা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এই আইন প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে তারা এসব মামলা লড়বে।
এই মামলার প্রধান আইনজীবী ভেইজো হেইসকানেন বলেছেন, ‘কাতারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং তা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কাতারের সাধারণ নাগরিক ও কোম্পানি রাষ্ট্রের অংশ নয় এবং তাদের লক্ষ্য বানানো উচিত নয়।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘পারস্পরিক রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধে বেসামরিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সম্পদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যথার্থ হয় না। এসব দাবি তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে কাতারের এনএইচসিআর।’
হেইসকানেন বলেন, যেসব দাবি এরই মধ্যে করা হয়েছে এবং করা হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য এনএইচআরসির সঙ্গে নিবীড়ভাবে কাজ করবে লালিভ।
৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর। তাদের অনুসারী কিছু দেশও কাতারকে বয়কটের ঘোষণা দেয়। এসব দেশের অভিযোগ, কাতার সন্ত্রাসের মদদ দিচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র অনারব দেশ ইরানকে সাহায্য করছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর স্পষ্ট দাবি, তাদের মতো পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করুক কাতার। এ ছাড়া তারা অবরোধ তুলে নেওয়ার একগুচ্ছ শর্ত দিয়েছে কাতারকে। কিন্তু কাতার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন