ডোমিনিকান রিপাবলিকে নিখোঁজ সুদিক্ষা কোনানকির সন্ধানে জোর তল্লাশি চলছে
সৌদি আরবে তুরস্কের ‘ঘাঁটির প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান
সৌদি আরবে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি সাম্রাজ্য।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসপিএ-তে বলা হয়েছে, তাদের দেশে সামরিক স্থাপনা তৈরির এমন সুযোগ দেওয়া হবে না তুরস্ককে।
এসপিএ শনিবার এক খবরে বলেছে, কাতারের মতো সৌদি সাম্রাজ্যে তুরস্ককে কোনো সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে দেওয়া হবে না। সৌদি সাম্রাজ্যের সামরিক সক্ষমতা তুরস্কের সমতুল্য।
নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এসপিএ জানিয়েছে, ‘সৌদি আরব তার সীমানায় কাতারকে কোনো সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করতে দেবে না।’
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য দেশের বাইরেও যুদ্ধ করছে সৌদি আরব। তুরস্কের ইনসিরলিক ঘাঁটি থেকেও অভিযান পরিচালনা করছে সৌদি আরব।
পর্তুগিজ সম্প্রচার মাধ্যম আরটিপিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ২০১৪ সালে কাতারে সামরিক স্থাপনা নির্মাণ শুরুর পরপরই সৌদি আরবকে তিনি একই প্রস্তাব দেন। এরদোয়ানের এ বক্তব্যের পর সৌদি কর্তৃপক্ষ তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কথা জানাল।
গত সপ্তাহে তুরস্কের পার্লামেন্ট কাতারে তাদের সামরিক ঘাঁটিতে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব অনুমোদন করে।
৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অন্যান্য যোগাযোগা ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও তাদের কিছু মিত্র দেশ। এ সংকট সমাধানে মধ্যস্থতার হাত বাড়িয়েছে তুরস্ক। কিন্তু এখনো বরফ গলেনি।
এসব দেশের অভিযোগ- কাতার সন্ত্রাসে অর্থায়ন করছে ও ইরানকে সমর্থন করছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলোকে সাহায্য করারও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কাতার তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
কাতার সংকটে নাগ গলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রও। সন্ত্রাসবাদ বিস্তারে কাতারের দিকে আঙুল তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার এ সংকট শুরুর পরই সেই কাতারের সঙ্গেই ১২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের এই দ্বিমুখী অবস্থানে সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন