ডোমিনিকান রিপাবলিকে নিখোঁজ সুদিক্ষা কোনানকির সন্ধানে জোর তল্লাশি চলছে
ইসরায়েলি এক নার্সের মানবিকতা
হিংসা, হানাহানিতে দীর্ণ এই পৃথিবী। প্রেম, ভ্রাতৃত্বের বড়ই অভাব। মানুষের সঙ্গে মানুষের, দেশের সঙ্গে দেশের হিংসা, বিবাদে যেখানে বারবারই আক্রান্ত হতে হয় মানবতাকে। কিন্তু, কিছু ঘটনা আজও ঘটে, যা নতুন করে আশার সঞ্চার করে, বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জোগায়। সম্প্রতি তেমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক প্যালেন্টানীয় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এক ইজরায়েলি নার্স।
প্যালেন্টাইন ও ইজরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশের মধ্যে বিবাদ বহু পুরনো। আর সেই বিবাদ পড়শি এই দুই দেশের মানুষের মধ্যে যেন এক অদৃশ্য সীমারেখা টেনে দিয়েছে। যে সীমারেখার কাছে হার মেনে যায় স্নেহ, ভালবাসার মতো মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিগুলিও। তাই কোনও প্যালেস্তিনীয় কোনও ইজরায়েলিকে সাহায্য করছেন, সারা বিশ্বেই এ ছবি বিরল। উল্টোটা সচরাচর ঘটে না। তাই ইজরায়েলি ওই মহিলার মাতৃত্বসুলভ আচরণ হৃদয় জিতে নিয়েছে বহু মানুষের।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ইজরায়েলে গিয়ে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এক প্যালেন্টাইন দম্পতি ও তাদের শিশুসন্তান। দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলা ও তাঁর নমাসের শিশুকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক কারণে ওই মহিলা, নিজের সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে প্রায় সাত ঘণ্টা শিশুটিকে বোতল থেকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন হাসপাতালে এক ইজরায়েলি নার্স। কিন্তু, শিশুটি দুধ খেতে চাইছিল না। শেষপর্যন্ত ওই নার্স নিজেই শিশুটি বুকের দুধ খাওয়ান। জানা গিয়েছে, নিজের শিফট চলাকালীন মোট পাঁচবার শিশুটিকে বুকের দুধ খাইয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এক ইজরায়েলি নার্স যে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে রাজি হবেন, সেটা কল্পনাই করতে পারেননি ওই শিশুটির পরিবার। তাই প্রথমে শিশুটি দেখাশোনার জন্য একজন আয়ার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু মনুষ্যত্ব এখনও বিলুপ্ত হয়নি, এ ঘটনা যেন তারই জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন