ডোমিনিকান রিপাবলিকে নিখোঁজ সুদিক্ষা কোনানকির সন্ধানে জোর তল্লাশি চলছে
চাঁদে মানুষ পাঠাবে চীন
ছবি: সংগৃহীত
চীন চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, জানা যায় এ সপ্তাহে বেইজিং এ সংঘটিত গ্লোবাল স্পেস এক্সপ্লোরেশন কনফারেন্স (GLEX 2017) থেকে। চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এবং চীনের প্রথম মহাকাশচারী ইয়াং লিওয়েই বলেন, তারা চাঁদে মনুষ্যবাহী মহাকাশযান নামানোর প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মনুষ্যবাহী অ্যাপোলো মিশনের মতোই এই মহাকাশযানের বিভিন্ন অংশ আলাদা আলাদাভাবে উৎক্ষেপণ করা হবে। অর্থাৎ মনুষ্যবাহী ক্যাপসুল এবং লুনার ল্যান্ডার আলাদা হবে। এগুলো পরে চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে জোড়া লাগবে।
চীনের অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কর্পোরেশন (CASC) এর প্রেসিডেন্ট উ ইয়ানশেংও এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। গত বছরে দেওয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, চীনের এই মিশন ২০৩৬ সাল নাগাদ শেষ করার পরিকল্পনা আছে। এ মিশনের ব্যাপারে আর তেমন কোনো তথ্য জানা যায় না। তবে মনুষ্যবাহী হোক আর মনুষ্যহীন, মহাকাশযাত্রার ক্ষেত্রে প্রচুর উন্নতি করছে দেশটি।
ওই একই কনফারেন্সে চীন বলে, আগামী পাঁচ বছরে আরো চারটি নতুন মনুষ্যবাহী মহাকাশযাত্রার পরিকল্পনা করেছে তারা। ২০১৯ সালে তাদের প্রথম স্থায়ী স্পেস স্টেশন (CSS) তৈরি শুরু করার চিন্তা করছে চীন। বর্তমানে চীনের একটি পরীক্ষামূলক স্পেস ল্যাবোরেটরি, টিয়ানগং-২ আছে মহাকাশে।
এ বছরে চীন আরেকটি মহাকাশচারী দল নির্বাচন করবে, এতে ১০-১২ জন মহাকাশচারী থাকবেন এবং এর দুইজন হবেন নারী। তারা CSS এ তিন থেকে ছয় মাসের জন্য থাকবেন গবেষণার উদ্দেশ্যে। চীনের বিগত মহাকাশচারীদের (যাদের বলা হয় টাইকোনটস) চাইতে তাদের বিজ্ঞান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বেশি থাকবে। এ পর্যন্ত ১১ জন টাইকোনটকে মহাকাশে পাঠিয়েছে চীন। এ সব অভিযানের লক্ষ্যই ছিল সম্ভবত চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করা।
১৯৬০ সালের দিকে অ্যামেরিকা যে পন্থায় চাঁদে মানুষ পাঠায়, তার চাইতে কিছুটা ভিন্ন হতে যাচ্ছে চীনের পরিকল্পনা। তারা ইতোমধ্যেই চাঁদের পৃষ্ঠে একটি টেলিস্কোপ রেখেছে যা আরো ৩০ বছর কাজ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে তারা চাঁদের অন্ধকার দিকে একটি প্রোব পাঠাবে যা এখনো পর্যন্ত কেউ করেনি। আর চাঁদ থেকে লুনার স্যাম্পল নিয়ে আসার জন্য তাদের আরেকটি মিশন যাবার কথা এই বছরের সেপ্টেম্বরে।
শেয়ার করুন