বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির বিদায়
চলে গেলেন ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি সোদিমেজো। ১৪৬ বছর বয়সে ওই ব্যক্তি মধ্য জাভার একটি গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান। সরকারি হিসেবে সোদিমেজোর জন্ম হয়েছিল ১৮৭০ সালে।
১৯০০ সালে ইন্দোনেশিয়ায় জন্মসনদ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কর্মকর্তারা সোদিমেজোর সঙ্গে কথা বলে এবং তার জন্ম তারিখের সপক্ষে যে কাগজপত্র ও প্রমাণ জমা দিয়েছেন তা যাচাই করে তার বয়সের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন।
সোদিমেজোর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে গত ১২ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু তিনি সেখানে থাকতে চাননি। ছয় দিন পরে সোদিমেজোকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। এর দুই দিন পরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন তার একজন নাতি। সোদিমেজোর চার স্ত্রী, ১০ ভাই-বোন এবং সব সন্তান ইতিমধ্যেই মারা গেছেন।
গত বছর সোদিমেজো বিবিসিকে জানিয়েছিলেন তার এই দীর্ঘ জীবনের গোপন চাবিকাঠি কী? তিনি বলেছিলেন, ‘একটি হচ্ছে ধৈর্য। আর অন্যটি হচ্ছে ভালবাসা - যারা আমার আশেপাশে রয়েছে, আমাকে দেখাশোনা করছে তাদের ভালবাসা।’ সোদিমেজো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রচুর ধূমপান করেন। জাপান এবং ডাচ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধের নানা কাহিনি শোনানোর জন্য তিনি তাঁর গ্রামবাসীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।
সোদিমেজোর নাতি সুরিয়ানতো বলেন, তাঁর নানাকে সোমবার সকালে স্থানীয় একটি সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ করা হয়। অনেক বছর ধরে সোদিমেজোর বাড়ির সঙ্গে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বসানো ছিল। সোদিমেজোর সমাধির ওপর ওই স্মৃতিস্তম্ভটি বসানো হয়েছে।
সঠিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে সোদিমেজোর বয়স যদি ১৪৬ বছর বলে প্রমাণিত হয়, তবে তিনি ফরাসি শতবর্ষজীবী জিন কালমেন্টের চেয়েও দীর্ঘজীবী। ১২২ বছর বয়সে কালমেন্ট মারা যান। ইতিহাসে তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী মানুষ বলে স্বীকৃত।
শেয়ার করুন