আপডেট :

        স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার

        ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা

        ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা

        দশকের পর দশক ধরে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা

        অর্থনীতির উন্নয়নে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে

        মানুষের পকেট ব্যয় আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ

        শপথ নিলেন মার্ক কার্নি

        অপার্থিবের ‘আবছা নীল কণা’

        হিন্দু হয়েও মন্দিরে পুজো দিতে দেওয়া হত না

        নারায়ণগঞ্জে আরও দুই শিশুকে ধ র্ষ ণচেষ্টা

        রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারে ঈদ উদযাপন করতে পারে

        ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: ট্রাম্প

        চলতি বছর সবজি দাম তুলনামূলক কম

        সারকারখানার উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে দেশের প্রায় ৪শ হিমাগার

        জাল নোটসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

        পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বিশেষ দূতের দেখা

        বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান

        দুই বছরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি

        রমজানের শুভাচ্ছা জানালেন পুতিন

        রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার খেয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কোমাতেই সন্তানের জন্ম দিলেন মা

কোমাতেই সন্তানের জন্ম দিলেন মা

আর্জেন্টিনার পুলিশ কর্মী অ্যামিলিয়া বাননা। মাস চারেক আগে কর্তব্যরত অবস্থাতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন তিনি। চলে যান কোমায়, তার গর্ভে তখন পাঁচ মাসের সন্তান। আইসিইউইতেই শরীরের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখলেন সন্তানকে। সঠিক সময়ে জন্মও দিলেন সেই সন্তানের এবং সেই সন্তানের স্পর্শেই ধীরে ধীরে কোমা থেকে বেরিয়েও এলেন।

৩৪ বছরের অ্যামিলিয়া বাননা এবং তার স্বামী ক্রিস্টিয়ান এসপিনডোলা দুইজনেই পুলিশে কর্মরত। গত বছর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব আর্জেন্টিনার পোসাদাস এলাকা দিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন এই দম্পতি। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার স্বামী ক্রিস্টিয়ান। সঙ্গে ছিলেন আরও চার সহকর্মী। এমন সময় হঠাৎই মারাত্মক পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অ্যামিলিয়াদের গাড়িটি। মাথায় চোট পান অ্যামিলিয়া। মস্তিষ্কের ভিতরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও কোমায় চলে যান অ্যামিলিয়া। চিকিৎসকরা জানান, অ্যামিলিয়া কোমায় চলে গেলেও তার গর্ভস্থ সন্তানের কোনও ক্ষতি হয়নি। এমনকী তার বৃদ্ধিও স্বাভাবিক ভাবেই হচ্ছে। অবশেষে বড়দিনের কয়েক দিন আগে জন্ম নেয় অ্যামিলিয়া-ক্রিস্টিয়ানের ছেলে সান্টিনো।সমস্ত বৈজ্ঞানিক যুক্তিকে মিথ্যে প্রমাণ করে আপাতত চিকিৎসক মহলে আলোচনার বিষয় তিনি।

নিউরোসার্জেন মার্সিলো ফেরেরিয়া বলেন, ‘অ্যামিলিয়া সমস্ত বৈজ্ঞানিক যুক্তিকে মিথ্যে প্রমাণ করেছে। যা হয়েছে সেটা অলৌকিক ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

অ্যামিলিয়ার বোন নর্মা জানান, মায়ের স্পর্শ দিতে এর পর থেকে সান্টিনোকে প্রতিদিন অ্যামিলিয়ার কাছে আনা হত। কিছুদিন পর থেকে সেই স্পর্শে সাড়া দিতে থাকেন অ্যামিলিয়াও। সান্টিনোর জন্মের চার মাস পর কোমা থেকে ফিরে আসেন অ্যামিলিয়া

সান্টিনোর মামা সিজার বলেন, ‘একটু একটু করে নড়াচড়া শুরু করছিল অ্যামিলিয়া। অবশেষে গত সপ্তাহে তার জ্ঞান আসে। প্রথম যখন চোখ খুলে ও সান্টিনোকে দেখে তখন ভেবেছিল হয়তো কোনও আত্মীয়ের ছেলে হয়েছে। তখনই আমরা সুখবরটা অ্যামিলিয়াকে জানাই।’


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত