এরদোয়ানের ক্ষমতা চিরস্থায়ী হচ্ছে কি?
তুরস্কে গণভোট রোববার। এ ভোটের লক্ষ্য সংসদীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন। এ বিষয়ে তুর্কিরা ‘হ্যাঁ, না’ ভোট দিতে যাচ্ছে। যদি ‘হ্যাঁ ভোট’ জয়ী হয়, তাহলে এক অর্থে ক্ষমতা চিরস্থায়ী হবে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের।
রোববার গণভোট হবে ‘সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে সংবিধান পরিবর্তন করা হবে কি হবে না’- এ প্রশ্নের ওপর।
শনিবার তুরস্কজুড়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষের শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণা। এরদোয়ানের সরকার পরিবর্তনের পক্ষে। আর বিরোধীদলগুলো বিপক্ষে। কিন্তু বিরোধীরা দাবি করছে, তাদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।
গত বছর জুলাই মাসে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে দেশটিতে। এর মধ্যেই সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোটের আয়োজন করেছে এরদোয়ান সরকার। ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সরকারপন্থিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোটে জেতার চেষ্টা করবে। কারণ, জরুরি অবস্থায় যেকাউকে বিনা অভিযোগে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা রয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর হাতে।
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত এরদোয়ানকে ক্ষমতায় দেখা যেতে পারে। এরদোয়ানের সমর্থকদের দাবি, ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হলে দেশ আরো আধুনিক হবে। কিন্তু ‘না’-এর সমর্থকদের দাবি, দেশে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, কর্তৃবাদী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।
পক্ষে-বিপক্ষে নানা কারণ ও অজুহাত নিয়ে রোববার তুরস্কের ভাগ্য পরীক্ষা হতে চলেছে। ভোটের ফল এ দিন সন্ধ্যা নাগাদ প্রকাশিত হতে পারে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন