আপডেট :

        স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার

        ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা

        ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা

        দশকের পর দশক ধরে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা

        অর্থনীতির উন্নয়নে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে

        মানুষের পকেট ব্যয় আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ

        শপথ নিলেন মার্ক কার্নি

        অপার্থিবের ‘আবছা নীল কণা’

        হিন্দু হয়েও মন্দিরে পুজো দিতে দেওয়া হত না

        নারায়ণগঞ্জে আরও দুই শিশুকে ধ র্ষ ণচেষ্টা

        রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারে ঈদ উদযাপন করতে পারে

        ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: ট্রাম্প

        চলতি বছর সবজি দাম তুলনামূলক কম

        সারকারখানার উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে দেশের প্রায় ৪শ হিমাগার

        জাল নোটসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

        পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বিশেষ দূতের দেখা

        বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান

        দুই বছরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি

        রমজানের শুভাচ্ছা জানালেন পুতিন

        রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার খেয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েওবামার পরিকল্পনা বাতিল করছেন ট্রাম্প

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েওবামার পরিকল্পনা বাতিল করছেন ট্রাম্প

বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে সাবেক ওবামা প্রশাসনের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । শিগগিরই এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছেন তিনি।

মঙ্গলবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

২০১৪ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কার্বন নিঃসরণ কমাতে ‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান’ নামে যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন, এই আদেশ জারির মাধ্যমে তা বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। এছাড়া ট্রাম্পের এই আদেশের জলবায়ু সুরক্ষা সংস্থা এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির বাজেটে কাঁটছাট করা হবে। একইসঙ্গে  তেল, গ্যাস ও কয়লা  উৎপাদন নিয়ন্ত্রণমালা নতুন করে পর্যালোচনা করা হবে।

ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জয়ী হলে তিনি সবুজ নীতি বাতিল করবেন। তার মতে, এটি অর্থনীতির গতি বাধাগ্রস্ত করছে। ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন করবে।

তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, এতে দেশ ও দেশের বাইরে পরিবেশের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর গ্রিনহাইজ গ্যাস নির্গমন সীমিত রাখার কথা বলা আছে। তবে রিপাবলিকান ক্ষমতাসীন রাজ্যগুলোতে এই নিয়ন্ত্রণ অজনপ্রিয়, বিশেষ করে যেসব ব্যবসা তেল, কয়লা ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল।গত বছর সুপ্রিম কোর্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এই পরিকল্পনায় সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, প্যারিসে চুক্তি থেকে সরে আসার মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং আমদানীকৃত জ্বালানির ওপর আমেরিকার নির্ভরশীলতা কমবে।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ পরিবেশবাদীদের বাধার মুখে পড়তে পারে। তারা আদালতে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানা গেছে।

পরিবেশবাদী কর্মী টম স্টেয়ার রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এমন পদক্ষেপ আমেরিকার মূল্যবোধের জন্য অপমানজনক। এটি সব আমেরিকানের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলবে।’

পরিবেশবাদী সংগঠন ‘আর্থজাস্টিস’ ট্রাম্পের জলবায়ু সংক্রান্ত পরিকল্পনাকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে বলে জানিয়েছে।

সংগঠনটির প্রধান ট্রিপ ভন নুপিন বলেন, ‘এই আদেশ আইন ও আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত