৫৫ মিলিয়ন ডলারের মাদক বাজেয়াপ্ত, ৩ সন্দেহভাজন ফেন্টানাইল পাচারকারী গ্রেফতার
শিগগিরই আরো ৫৫ আসামির ফাঁসি
পাকিস্তানে অন্তত ৫৫ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইন। ফলে ধারনা করা হচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।
এদিকে দেশটির ফয়সালাবাদ জেলা কারাগারে রোববার রাতেই চার আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যারা সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
এই চারজন হলেন- জুবাইর আহমেদ, রশিদ কুরেশি, গুলাম সারোয়ার ভাত্তি এবং আখলাক আহমেদ নামের এক রুশ নাগরিক। কয়েক বছর আগে সামরিক আদালতে তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে।
প্রেসিডেন্সিয়াল অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১২ সালে ওই আসামিরা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের চাপ ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে স্থগিতাদেশ বজায় থাকায় জারদারি এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
ওই কর্মকর্তা জানান, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তি বা প্রত্যাখ্যান কোনোটাতেই স্বাক্ষর করেননি।
এর আগে এক প্রশ্নের উত্তরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান বলেছিলেন, “পাঁচ শতাধিক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। এ ব্যাপারে ওই কর্মকর্তা বলেন, ২০১২ সালের পর থেকে প্রেসিডেন্টের বরাবর কোনো প্রাণভিক্ষার আবেদন জমা পড়েনি।”
এ ব্যাপারে সাবেক বিচারপতি তারেক মাহমুদ বলেন, “এর মানে এই নয় যে, কয়েক দিনের মধ্যে ৫০০ আসামিকে ফাঁসি দেওয়া হবে। এর মধ্যে অনেক রায়ই নিম্ন আদালত বা হাইকোর্টের। এগুলো আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টে যাবে। তারপর সেখানে পুনঃরায় ঘোষণা করা হবে।”
দেশটির নিয়মানুযায়ী প্রেসিডেন্টের প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যানের ন্যূনতম ১৪ দিন পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি পাঞ্জাব সরকার আইনটি পরিবর্তন করে কার্যকরের মেয়াদ দুই দিনে এনেছে।
এ ছাড়া ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দিষ্ট সময়ও পরিবর্তন করা হয়েছে। এর আগে রাত ৪টায় ফাঁসি কার্যকর করা হলেও বর্তমানে যে কোনো সময়ই তা করা যাবে।
প্রসঙ্গত, ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে তালেবান হামলায় অন্তত ১৪১ জন নিহতের ঘটনার পর দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে ছয় বছর ধরে চলমান স্থগিতাদেশ তুলে নেয় সরকার।
শেয়ার করুন