আপডেট :

        ৫৫ মিলিয়ন ডলারের মাদক বাজেয়াপ্ত, ৩ সন্দেহভাজন ফেন্টানাইল পাচারকারী গ্রেফতার

        ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদের জন্য প্রার্থী হলেন কেটি পোর্টার

        মহাকাশের রহস্য উদঘাটনে নতুন মিশন: নাসার স্পেস টেলিস্কোপ ‘স্পেরেক্স’ উৎক্ষেপণ

        লস এঞ্জেলেসে হামের সংক্রমণ, আক্রান্ত ব্যক্তি এলএএক্স-সহ একাধিক স্থানে ভ্রমণ করেছেন

        লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে হাম সংক্রমণের ঝুঁকি কতটুকু? টিকা নেওয়া প্রয়োজন কি না, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বুধবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের আশঙ্কা

        আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের জন্য সর্তকতা ও সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা

        লস এঞ্জেলেস কাউন্টির সব সৈকতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ভারী বর্ষণে বাড়ছে দূষণের ঝুঁকি

        ছেলের সাথে পরীমণির ‘প্রজাপতি খেলা’

        ট্রাম্প যুদ্ধ থামাতে চান কতটা ছাড় দিয়ে?

        শিশুছাত্রকে ধর্ষণের দায়ে মাদ্রাসাশিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত

        তালাকপ্রাপ্ত মেয়েরাও মৃত বাবার মাসিক পেনশনের অংশ পাওয়ার অধিকারী হবেন

        বাংলাদেশের জন্য অর্থ সহায়তা ঘোষণা করেছে কানাডা

        মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

        বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে অসন্তোষ

        বিশ্বের অস্ত্র রপ্তানিতে আবারও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র

        বিয়ের অনুষ্ঠানে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে আছে কিশোর

        তারাবি নামাজ রমজান মাসের একটি স্বতন্ত্র ইবাদত

        সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে চালু হতে যাচ্ছে কার্গো ফ্লাইট

        যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বর্জন শুরু কানাডায়

যে কারণে সিআইএর নির্যাতনের বিচার চান না ওবামা

যে কারণে সিআইএর নির্যাতনের বিচার চান না ওবামা

যুক্তরাষ্ট্রে নির্যাতন বেআইনি হলেও বন্দিদের ওপর নৃশংস নির্যাতনের নির্দেশদাতা সিআইএর গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের আইনের মুখোমুখি করতে চায় না ওবামা প্রশাসন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর অমানবিক নির্যাতনের রিপোর্ট প্রকাশের পর পরই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি ওঠে। কিন্তু ওবামা অতি অমানবিক ও নৃশংস কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদের তীব্র নিন্দা জানালেও হোয়াইট হাউস বেশ দৃঢ়ভাবেই সংশ্লিষ্টদের আইনি বিচারে মুখোমুখি করার সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন সুনির্দিষ্টভাবে নির্যাতন নিষিদ্ধ করেছে। যে কারণে সিআইএর নির্যাতনের বিচার চান না ওবামা
কারও ওপর 'গুরুতর শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা বা দুর্ভোগ ঘটায়' এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া যাবে না। বন্দিশিবিরগুলোতে সপ্তাহ ধরে জাগিয়ে রেখে আটক বন্দিকে চেতনাগত বিভ্রমের মধ্যে ঠেলে দেওয়া, ২২ ঘণ্টা টানা মাথার ওপরে হাত শেকলে বেঁধে রাখা, ওয়াটার বোর্ডিংয়ের মতো নৃশংতা চালিয়েছে সিআইএ। এসবও মার্কিন আইনে নির্যাতনের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে।
কিন্তু ওবামা প্রশাসন বলে আসছে, তারা এ জন্য কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবে না। ওবামা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই তার অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছিলেন, বুশ প্রশাসনের আইন কর্মকর্তারা সিআইএকে যে আইনি নির্দেশনা দিয়েছেন তা যারা মেনে চলেছেন, তাদের কাউকেই আইনের মুখোমুখি করা হবে না। ফেডারেল কেঁৗসুলিরা তিন বছর তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তারা মনে করেন, এটা আশিংকভাবে অবশ্যই আইনসম্মত। তাছাড়া আইনি পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যেসব ডকুমেন্ট দরকার তার অনেকই উচ্চ পর্যায়ের গোপনীয়তার অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে এগুলো উপস্থাপন করা যাবে না। অন্যদিকে বিচারকরা মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে মুক্ত রাখতে প্রতি মুহূর্তেই সিআইএর ওপর নির্ভর করতে হয় ওবামাকে। সে ক্ষেত্রে কাউকে আইনের মুখোমুখি করা মানে সংস্থাটির সঙ্গে ওবামার দূরত্ব বাড়ানো। দ্য টেলিগ্রাফ।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত