আপডেট :

        স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার

        ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা

        ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা

        দশকের পর দশক ধরে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা

        অর্থনীতির উন্নয়নে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে

        মানুষের পকেট ব্যয় আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ

        শপথ নিলেন মার্ক কার্নি

        অপার্থিবের ‘আবছা নীল কণা’

        হিন্দু হয়েও মন্দিরে পুজো দিতে দেওয়া হত না

        নারায়ণগঞ্জে আরও দুই শিশুকে ধ র্ষ ণচেষ্টা

        রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারে ঈদ উদযাপন করতে পারে

        ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: ট্রাম্প

        চলতি বছর সবজি দাম তুলনামূলক কম

        সারকারখানার উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে দেশের প্রায় ৪শ হিমাগার

        জাল নোটসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

        পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বিশেষ দূতের দেখা

        বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান

        দুই বছরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি

        রমজানের শুভাচ্ছা জানালেন পুতিন

        রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার খেয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

সেনাপ্রধান নির্বাচন নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের আশঙ্কা!

সেনাপ্রধান নির্বাচন নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের আশঙ্কা!

লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে সেনাপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এতেই বিতর্কের শুরু। কারণ লে.জে. রাওয়াতের ওপরেও অন্তত দুজন অফিসার ছিলেন, পূর্ব কমান্ডের প্রধান লে.জে. প্রবীণ বক্সি এবং দক্ষিণ কমান্ডের লে.জে. পি এম হারিজ।

বয়সের বিচারে, নিয়ম অনুযায়ী এই দুজনের মধ্যে একজনের সেনাপ্রধান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের টপকে সরকার লে.জে. রাওয়াতকেই নির্বাচন করায় শুধু রাজনৈতিক বিতর্কই নয়, সেনাবাহিনীর ভেতরেও অসন্তোষ জন্মেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম এবেলা জানায়, পূর্ব কমান্ডের অফিসারদের মধ্যে এই নিয়ে অসন্তোষ এতই তীব্র হয়েছে যে বিদায়ী সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগ তাঁর কলকাতা সফরের সময় বেশিক্ষণ ফোর্ট উইলিয়ামে থাকতে চাননি।

যেকোনো বিদায়ী সেনাপ্রধানই দায়িত্ব ছাড়ার আগে দেশের নানা প্রান্তে সেনাঘাঁটিতে একবার করে ঘুরে আসেন। তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানানোর সুযোগ পান সেনাকর্তা এবং জওয়ানরা।

সেই নিয়ম মেনেই, তার দুদিনের কলকাতা সফরের সময়সূচি চূড়ান্ত হলেও, তিনি সেই সফর কাটছাট করে মাত্র চার ঘণ্টা ফোর্ট উইলিয়ামে কাটিয়েই কলকাতা ছাড়েন। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হলেও, জেনারেল সুহাগ অসন্তোষের আঁচ পেয়েছিলেন বলেই খবর।

পূর্ব কমান্ডের প্রধান লে.জে. প্রবীণ বক্সি ইতিমধ্যেই দিল্লি গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকরের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। সরকার নিয়ম ভাঙায়, তা সেনাবাহিনীর মনোবলেও আঘাত করেছে। কারণ এর ফলে সেনাবাহিনীতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

আর এই বিতর্কের মাঝে সবচেয়ে বড় বোমাটি ফাটাতে পারেন লে.জে. প্রবীণ বক্সি। একটি আশার আলো দেখা যাচ্ছিল তাকে সেনাপ্রধান না করে মোদি সরকার লে.জে. বক্সিকে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ করতে পারে। কিন্তু সে আশাও ক্রমশ ক্ষীণ হতে শুরু করেছে।

গুঞ্জন বাড়ছে তা হলো আগামী ৩১ ডিসেম্বর মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লে.জে. বক্সি পদত্যাগ করতে পারেন। যদি তিনি সত্যিই পদত্যাগ করেন তা হবে মোদি সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। সাম্প্রতিক অতীতে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সেনাবাহিনীতে এ রকম ঘটনার নজির নেই।


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত