যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা হলো ৩২ কোটি ৩১ লাখ
যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যা ৩২৩.১ মিলিয়ন তথা ৩২ কোটি ৩১ লাখে পৌঁছালো। গত বছরের চেয়ে তা ০.৭% বেশী। যুক্তরাষ্ট্র সেনসাস ব্যুরোর পক্ষ থেকে ২১ ডিসেম্বর এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০০৯ সালে সৃষ্ট মন্দা পরিস্থিতির পর থেকে এবারও জনসংখ্যা বৃদ্ধির মন্থরগতি পরিলক্ষিত হলো। অভিবাসী হিসেবে আগমণের হার হ্রাস পাওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি এবং যুবক-যুবতীদের মধ্যে সন্তান গ্রহণের আগ্রহে ভাটা পড়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিকে মন্থর করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেছেন।
সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ম্যারিল্যান্ড, ম্যাসেচুসেটস, রোড আইল্যান্ড রাজ্যেও জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অভিবাসন হিসেবে আসা লোকজনের গতি হ্রাস পাওয়ায় এসব রাজ্যে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ার কারণে নিউইয়র্ক রাজ্যে এ বছর জনসংখ্যা কমেছে ১৮৯৪ জন। অর্থাৎ এরা টেক্সাস, মিশিগান অথবা নিউজার্সি রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।
সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মাত্র ১০ লাখ বিদেশী যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন অভিবাসন মর্যাদা নিয়ে। আগের বছরের চেয়ে তা অনেক কম। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মনোভাব গ্রহণ করেছেন, তা বহাল হলে সামনের বছর অভিবাসন মর্যাদা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসার হার আরো কমবে-তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, চলতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অভিবাসীদের প্রভাব পড়েছে ৪৫%।
সেনসাস ব্যুরো জানায়, এ বছর সবচেয়ে বেশী জনসংখ্যা কমেছে ইলিনয় রাজ্যে-৩৭৫০৮। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় কমেছে ০.৫৪%। কানেকটিকাট, মিসিসিপি, পেনসিলভেনিয়া, ভারমন্ট এবং ওয়াইওমিং রাজ্যেও জনসংখ্যা কমেছে এবছর। অপরদিকে, সবচেয়ে বেশী বেড়েছে ইউটাহ রাজ্যে-২.০৩%। আরো বেড়েছে নেভাদায় ১.৯৫%, আইডাহোতে ১.৮৩%, ফ্লোরিডায় ১.৮২%, ওয়াশিংটনে ১.৭৮%, ওরেগণে ১.৭১%, কলরাডোতে ১.৬৮%, আরিজোনায় ১.৬৬%, ডিসিতে ১.৬১%, টেক্সাসে ১.৫৮%। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে নিউ মেক্সিকোতে ০.০৩%, ক্যানসাসে ০.০২%। অপরদিকে জনসংখ্যা কমেছে নিউইয়র্কে ০.০১%, মিসিসিপিতে ০.০২%, পেনসিলভেনিয়ায় ০.০৬%, ওয়াইওমিংয়ে ০.১৮%, কানেকটিকাটে ০.২৩%, ভারমন্টে ০.২৪%, ইলিনয়ে ০.২৯%, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ০.৫৪%।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন