আপডেট :

        ডোমিনিকান রিপাবলিকে নিখোঁজ সুদিক্ষা কোনানকির সন্ধানে জোর তল্লাশি চলছে

        লস এঞ্জেলেসে ট্রান্সজেন্ডার নারীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় LAPD-এর বিরুদ্ধে পরিবারের মামলা

        কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মী গ্রেফতার

        জিন হ্যাকম্যানের কুকুরের মৃত্যু ক্ষুধা ও পানিশূন্যতার কারণে, প্রতিবেদন প্রকাশ

        ক্যালিফোর্নিয়ায় স্টেট ফার্মের ২২% হোম ইন্স্যুরেন্স বৃদ্ধির অনুমোদন

        ট্রাম্পের এন্টি-DEI নির্বাহী আদেশ কার্যকর করার অনুমতি দিল আপিল আদালত

        পাসাডেনা হাসপাতালে সহিংসতার হুমকিতে লকডাউন, এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

        স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার

        ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা

        ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা

        দশকের পর দশক ধরে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা

        অর্থনীতির উন্নয়নে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে

        মানুষের পকেট ব্যয় আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ

        শপথ নিলেন মার্ক কার্নি

        অপার্থিবের ‘আবছা নীল কণা’

        হিন্দু হয়েও মন্দিরে পুজো দিতে দেওয়া হত না

        নারায়ণগঞ্জে আরও দুই শিশুকে ধ র্ষ ণচেষ্টা

        রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারে ঈদ উদযাপন করতে পারে

        ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: ট্রাম্প

        চলতি বছর সবজি দাম তুলনামূলক কম

আমেরিকার মহাযুদ্ধ: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি

আমেরিকার মহাযুদ্ধ: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি

বাংলাদেশের মতো আমেরিকাতেও ১৮ বছর বয়স হলে ভোট দেওয়ার অধিকার মেলে। প্রতি চার বছর অন্তর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। তাও আবার একটি নির্দিষ্ট দিনে। প্রতিবারই নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হয়। জয়ী প্রার্থীর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনটাও নির্দিষ্ট। সেটা হল ২০ জানুয়ারি। গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই দুটি দিনের নড়চড় হয় না।
এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে এই নির্বাচন হয়।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা বিশ্ব। হোয়াইট হাউসের লড়াইকে ঘিরে উত্সাহের অভাব নেই। কারণ এটি এমন এক নির্বাচন, যেখানে কেউ বেশি ভোট পেলেই চোখ বুজে জিতে যাবেন, এমনটা নাও হতে পারে। কম ভোট পেয়েও, কোনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যদি বেশি সংখ্যক ইলেক্টরাল ভোট পেয়ে যান, শেষ হাসি হাসবেন তিনিই।
আমেরিকায় রয়েছে ৫২টি প্রদেশ এবং ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া। সব প্রদেশের প্রতিটি মানুষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন। প্রতিটি প্রদেশ বা রাজ্য থেকে একজন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়। প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট, ব্যালটে এই দুটি পছন্দের উল্লেখ থাকে। প্রথমে একটি রাজ্যের সব ভোট গোণা হয়। যে দলের ঝুলিতে সবচেয়ে বেশি ভোট যায়, ওই রাজ্য থেকে তাঁকেই সমর্থন করা হয়। কিন্তু শুধুমাত্র রাজ্য ভিত্তিক পছন্দের ফলাফলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হয় না। আমেরিকার বা ৫২টি রাজ্যের কোনওটি আয়তনে বড় আবার কোনওটি ছোট। কোনও রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, আবার কোনও রাজ্যে তা খুবই কম। স্বাভাবিক ভাবেই যে রাজ্যের লোকসংখ্যা বেশি, নির্বাচনে সেই রাজ্যের প্রভাবও বেশি।
অথচ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিটি রাজ্যেরই যথেষ্ট পরিমাণ ভূমিকা থাকা উচিত। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইলেক্টরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচনে কোন রাজ্যের প্রভাব কত, ইলেক্টরদের মাধ্যমেই তা নির্ধারিত হয়। আমেরিকার প্রতিটি রাজ্যে দুজন করে সেনেটর থাকেন। রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত মোট জেলার সংখ্যা এবং তার সঙ্গে দুজন সেনেটরের সংখ্যা যোগ করলে যেটা দাঁড়ায়, সেটাই হল সেই রাজ্য থেকে মোট ইলেক্টরের সংখ্যা। কোনও রাজ্য থেকে যিনি জয়ী হবেন, তিনি ওই রাজ্যের সব ইলেক্টরের ভোটই পাবেন। তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টরকে ব্যালটবন্দি করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ৫৩৮ টি ইলেক্টরাল ভোটের মধ্যে কেউ যদি একক ভাবে ২৭০টি পান, তাহলে তিনিই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন। অর্থাত্ হোয়াইট হাউসের দখল নেবেন তিনিই।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত