আপডেট :

        আহত বিড়াল ফেলে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

        সৎমায়ের হাতে ২০ বছর বন্দী যুবক!

        পিকো রিভেরায় টর্নেডোর আঘাত, ভেঙে পড়েছে গাছ ও বিদ্যুৎ লাইন

        টাকা পরিশোধ না করলে ন্যাটোর পাশে থাকব না বললেন ট্রাম্প

        এলডিসি থেকে উত্তরণ আগামী বছরই

        ‘লজ্জিত, ক্ষমার অযোগ্য আমরা’

        পরিচয় চুরি ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি

        শক্তিশালী ঝড়ের আঘাতে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ে তুষারপাত, বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাস

        কুয়েতে বন্দি ছয় মার্কিন নাগরিক মুক্ত, যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলেন

        আজ বিকেলে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ‘ব্লাড ওয়ার্ম মুন’ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখার সেরা সময়

        প্রতারণার মাধ্যমে এফইএমএ’র ত্রাণ তহবিল আত্মসাতের অভিযোগ

        ৭১ বছর বয়সী হাইকার সান গ্যাব্রিয়েল পাহাড়ে নিখোঁজ

        লোমা লিন্ডা হাসপাতালে 'সোয়াটিং কল' এ কর্তৃপক্ষের সায়

        ক্যালিফোর্নিয়ার সৈকতে সি লায়ন হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্তের সন্ধানে পুলিশ

        কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার শপথ নিবেন কার্নি

        শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

        আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর: বাপ্পারাজ

        মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশেষ সম্মান জানালো আইসিসি

        যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াও চাপে

সিআইএ- এর নিষ্ঠুর’ অত্যাচার

সিআইএ- এর নিষ্ঠুর’ অত্যাচার

cia torchar

নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার পর কয়েক বছর ধরে জঙ্গি সন্দেহে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ওপর ‘নিষ্ঠুর’ অত্যাচার করা হয়েছে। অত্যাচারের মাধ্যমে তাঁদের কাছ থেকে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে। আর পুরো বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) মিথ্যাচার করেছে।

আজ মঙ্গলবার সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটির প্রকাশ করা একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিআইএ ঠান্ডা মাথায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে মার্কিন নাগরিকদের বিভ্রান্ত করে গেছে।
এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তা মার্কিন মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এক বিবৃতিতে ওবামা বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের ওই পদ্ধতিগুলো মার্কিন ভাবমূর্তিকে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এতে বৈশ্বিক নানা বিষয়ে বিশ্বসহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।

তবে ডেমোক্র্যাটিক নেতারা বলেছেন, ওসামা বিন লাদেন ও অন্যান্য জঙ্গিদের তথ্য পাওয়ার জন্য অমানবিক উপায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার দরকার ছিল।

এদিকে, এই প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সব দূতাবাস ও মার্কিন স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আগাম সতর্কতা হিসেবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটির ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, আটক বন্দী, বিশেষ করে জঙ্গি সন্দেহে আটক লোকজনের কাছ থেকে তথ্য বের করতে নিষ্ঠুর সব কৌশল ব্যবহার করেছে সিআইএ। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাঁদের যৌন নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়েছে, না ঘুমাতে দিয়ে দিনের পর দিন জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। কোনো তথ্য না পেয়েও বন্ধ হয়নি নির্যাতন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে সন্দেহভাজন আল-কায়েদা জঙ্গিদের ওপর এ নির্যাতনের নীতি নিয়েছিল সিআইএ। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এ নীতি বাতিল করেন।
এ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া উচিত কি না, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলেছে। সিআইএর নিপীড়নের এ খবর প্রকাশের বিরুদ্ধে ছিলেন রিপাবলিকানরা। এ ব্যাপারে সিআইএও প্রবল আপত্তি জানায়। তবে ইনটেলিজেন্স কমিটির বেশির ভাগ সদস্য ডেমোক্র্যাট। তাঁরা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার পক্ষে মত দেন।

বিবিসির অনলাইন ও রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, প্রতিবেদনটি মোট ছয় হাজার পৃষ্ঠার। এটি সম্পাদনা করে ৪৮০ পৃষ্ঠা প্রকাশ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত