আপডেট :

        মডেল মেঘনা আলমের জামিন

        সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর বয়স ন্যূনতম ২৩ করার প্রস্তাব দেয় গণ অধিকার পরিষদের

        ইরেশ জাকেরের বিরুদ্ধে মামলা

        বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টরে দক্ষ জনশক্তি দরকার

        ডিপোর্টেশন ফ্লাইট পরিচালনার প্রতিবাদে এভেলো এয়ারলাইন্স বয়কটের দাবি

        সান্তা মনিকার জনপ্রিয় থার্ড স্ট্রিট প্রোমেনেডে পাবলিক ড্রিঙ্কিং চালুর প্রস্তাব বিবেচনায়

        গাড়ি থেকে চুরি হয়ে গেল পোষা ইয়র্কি, মালিকের আকুতি

        গোপন নাইটক্লাবে অভিযান: ১০০-এর বেশি অভিবাসী আটক, জড়িত সক্রিয় সামরিক সদস্যরাও

        ইউক্রেন-রাশিয়া আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহ, বললেন মার্কো রুবিও

        ফ্লোরিডার ক্লিয়ারওয়াটারে নৌকাডুবি: এক জন নিহত, বহু আহত

        রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া

        বজ্রপাতে চার শিক্ষার্থীসহ ১০ জনের মৃত্যু

        শিরোপাহীন মৌসুম রিয়ালের?

        সিলেটসহ দেশের ১৭ পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিত

        ট্রাম্পের প্রভাবে রূপান্তরিত নির্বাচনে কানাডার ভোট গ্রহণ

        সিনেমা হলে আসছে জয়া আহসানের নতুন সিনেমা

        লস এঞ্জেলেসে আলঝাইমার আক্রান্ত বৃদ্ধা নিখোঁজ, সিলভার অ্যালার্ট জারি

        ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে

        স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা হতে পারে

        গিগির হাতের সেই আংটি সত্যিই কি একটি প্রতিশ্রুতির প্রতীক

রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া

রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। মূলত এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও আজ সোমবার প্রথমবারের মতো সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। 

১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়া এই প্রথম কোনো সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিলো।

আজ সোমবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে গতবছর সেনা পাঠায় তারা। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তর জানায়, গত বছর শীত আসার আগে উত্তর কোরিয়া ১০ থেকে  ১২ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠায়। এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও, সোমবার প্রথমবারের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে তারা। 

মূলত এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও সোমবার প্রথমবারের মতো সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। সোমবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে গতবছর সেনা পাঠায় তারা। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তর জানিয়েছিল, গত বছর শীত আসার আগে উত্তর কোরিয়া ১০ থেকে  ১২ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠায়। এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও, সোমবার প্রথমবারের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে তারা।   

দুদিন আগেই রাশিয়া ঘোষণা করে কুরস্ক অঞ্চল তারা পুনরুদ্ধার করেছে। এর দুদিন বাদেই উত্তর কোরিয়া সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করে। ইউক্রেন যদিও রাশিয়ার এই দাবি মানেনি।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে নর্থ কোরিয়া মিলিটারি কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি অনুযায়ী সেখানে সেনা পাঠান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উনের মধ্যে ২০২৪ সালে এই সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই চুক্তি অনুসারে দুই দেশের মধ্যে কোনো একটি আক্রান্ত হলে অপর দেশটি তাকে সামরিক সাহায্য করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর এটিকে দুই দেশের মধ্যে সব থেকে বড় সামরিক চুক্তি বলে মনে করা হয়।

সোমবারে প্রকাশিত কোরিয়ার ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইউক্রেনের আগ্রাসনকারীদের প্রতিহত করে কুরস্ক অঞ্চলকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই রাশিয়াকে সাহায্য করেছে কোরিয়ার সেনা।” 

কিম বলেছেন, “ন্যায়বিচার এবং মাতৃভূমির সম্মান রক্ষায় যারা লড়েন তারা দেশের হিরো”। তিনি আরও বলেন, নিহত সেনাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পিয়ংইয়ংয়ে সৌধ স্থাপিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

অবশ্য মোট কত সেনা পাঠানো হয়েছে এবং কত সেনার প্রাণ গেছে সে বিষয়য় উত্তর কোরিয়া কিছু না জানালেও, গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়াতে প্রায় চার হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। এরপর আরও তিন হাজার সেনা পাঠানো হয় বলেও জানিয়েছে তারা।  

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী ভালোভাবে প্রশিক্ষিত এবং শৃংখলাপরায়ণ হলেও অভিজ্ঞতার অভাবে এবং অপরিচিত অঞ্চল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে তারা প্রাণ হারাচ্ছেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।


এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত