আপডেট :

        লস এঞ্জেলেসে ফের শক্তিশালী বাতাস, সতর্ক অবস্থানে দমকল বাহিনী

        পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে বলবেন ট্রাম্প

        চারজনের চাকরি গেল, হাজারো কর্মকর্তাকে বরখাস্তের হুমকি ট্রাম্পের

        পানামা খাল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প

        শপথ নিয়েই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ সুবিধা বাতিল করলেন ট্রাম্প

        জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করলেন ট্রাম্প

        যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প

        সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন

        ট্রাম্প ও পুতিনের দ্রুত বৈঠকের ঘোষণা

        দারুণ একটি ইনিংস খেলেছে লিটনঃ কার্টলি অ্যামব্রোস

        দাবানলে পুড়ছে হলিউড

        খালাস পেলেন জাপার সাবেক এমপি অভি

        সুনামগঞ্জের মানুষ এখনও আমাকে ভুল বোঝে: নাসুম আহমেদ

        ‘ক্রিস্টিন এবং জয় আর একসঙ্গে নেই

        একাই দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন পেরেজ

        ১১০০ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ

        পরিত্যক্ত সোনার খনিতে মৃ ত দেহ

        নির্বাচনে বিলম্ব, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তত বাড়ছে

        মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মুখ খুললো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

        জাতীয় সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ

মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মুখ খুললো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মুখ খুললো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে বিতর্ক বেশ পুরোনো। এমনকি মোদির বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি নিয়ে তথ্য জানতে চাওয়ার কারণে ২০২৩ সালে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জরিমানাও করা হয়েছিল।


এবার এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি বলছে, শুধুমাত্র কারও কৌতুহল মেটানো তথ্য জানার অধিকার বিষয়ক আইন- আরটিআই আইনের লক্ষ্য হতে পারে না। নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি বিতর্কে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এ কথা জানায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দিল্লি হাইকোর্টে জানান, আরটিআই আইনের ধারা অনুসারে, তথ্য জানানোই এই আইনের উদ্দেশ্য। কিন্তু, কারও ব্যক্তিগত কৌতুহল নিবৃত্তি এই আইনের উদ্দেশ্য নয় বলে জানান সলিসিটর জেনারেল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মোদির ডিগ্রি বিতর্কে আরটিআইয়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য। আরটিআই কর্মীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবর্ষে পাস করা সব শিক্ষার্থীর তথ্য প্রকাশ করতে বলে কমিশন। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 


হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের এজলাসে মেহতা জানান, একটি বিশ্বাসের জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রাখা থাকে। আইনের মারপ্যাঁচে কোনও অপরিচিত ব্যক্তির কাছে তা প্রকাশ করা যায় না।

সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য, যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তার সঙ্গে স্বচ্ছতা বা জবাবদিহির কোনও সম্পর্ক নেই। তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেওয়ার ফলে আরটিআই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মোদির ডিগ্রি বিতর্কে এই মামলা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে দিল্লি হাইকোর্টে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আরটিআই কর্মী নীরজ কুমার প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের সব শিক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর জানতে চেয়েছিলেন। কে পাস করেছেন, কে ফেল করেছেন, তা-ও জানতে চান তিনি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তৃতীয় পক্ষের তথ্য এ ভাবে দেওয়া যাবে না। তখন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান আরটিআই কর্মী। তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে কমিশন ওই তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয়।

কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯৭৮ সালের কলা বিভাগের স্নাতক স্তরে পাস করা শিক্ষার্থীদের নথিপত্র খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। ঘটনাচক্রে ওই বছরেই স্নাতক পাস করেন মোদিও। ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি মামলার প্রথম শুনানিতেই কমিশনের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মেহতা আদালতে জানান, আইন অনুসারে অনুমতি পেলে, কেউ নিজের ডিগ্রি বা মার্কশিট সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে চাইতেই পারেন। কিন্তু কোনও তৃতীয় পক্ষের কাছে এ জাতীয় তথ্য প্রকাশ্যের অনুমোদন দেয় না আরটিআই আইন। সে ক্ষেত্রে কমিশনের নির্দেশটি আইনের পরিপন্থি বলেই মত সলিসিটর জেনারেলের।

তিনি বলেন, “ওই আরটিআই কর্মী ১৯৭৮ সালের (পাস করা) সকলের তথ্য চেয়েছেন। এরপর কেউ এসে ১৯৭৯ সালের তথ্য চাইতে পারেন। তারপরে কেউ এসে ১৯৬৪ সালের তথ্যও চাইতে পারেন।”

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত