আসাদের এমন পতন কেন হলো?
বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের মাত্র ১২ দিনের বজ্র আন্দোলনে গত রোববার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। রোববার রাতেই আসাদ সিরিয়া থেকে পালিয়ে মিত্র দেশ রাশিয়াতে পালিয়েছেন। আসাদের এমন পতন কেন হলো- তা নিয়ে বিশ্লেষকরা নানা মত দিচ্ছেন।
এনিয়ে ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবা স্বীকার করেছেন যে, সিরিয়ায় আসাদের পতনের কারণে ইরান সমর্থিত প্রতিরোধ অক্ষের গতি বিঘ্নিত হয়েছে।
তাকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা ইরনা বলেছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অগ্রসর হওয়ার আগে আল-আসাদ সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। তবে তারা এসব সতর্কতা উপেক্ষা করেছে।
গালিবা জানালেন, যদি এসব সতর্কতা শুনতেন তাহলে আজকে সিরিয়ান জাতি অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা, সাম্প্রদায়িক বসতি এবং জাতীয় সম্পদের ক্ষতির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতো না। তবে তিনি অঙ্গীকার করেছেন, প্রতিরোধ অক্ষ-হিজবুল্লাহ আগের চেয়ে শক্তিশালী হিসেবে ফিরে আসবে এবং সিরিয়া জাতীয় মর্যাদা স্থাপন করবে।
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, সিরিয়ায় যা ঘটেছে, তা আমেরিকান-ইহুদিবাদী যৌথ ষড়যন্ত্রের ফল। এতে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার লোকের সামনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, প্রতিবেশী একটি দেশ এই ঘটনায় দৃশ্যমান ভূমিকা পালন করলেও মূল ষড়যন্ত্রকারী ও কৌশলবিদরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলে অবস্থান করছে।
আসাদকে বহু বছর ধরে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে ইরান ও রাশিয়া। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং হামাস ও হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলের অতর্কিত হামলার কারণে দেশ দুইটি সিরিয়ায় তেমন মনোযোগ দিতে পারেনি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন