আপডেট :

        নির্বাচনের ছাড়া এই মুহূর্তে বিএনপির কোনো রাজনীতি নেই

        হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ

        আসছে নতুন দল: উপদেষ্টা নাহিদ

        ঢাকায় এসে নিখোঁজ হওয়া সুবাকে দেখা গেল ক্যামেরায়

        ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ

        ইমিগ্রেন্ট ছাড়া একদিন: লস এঞ্জেলেসের প্রতিবাদ রাতেও অব্যাহত

        ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ

        মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ স্থগিত, চীনের সঙ্গেও আলোচনা হবে

        যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্ক চীনের

        নিউইয়র্কে বাড়ির সামনে বাংলাদেশিকে গুলি

        হাসিনা-রেহানাদের ৪ বাগানবাড়ি, আছে ডুপ্লেক্স ভবনও

        বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করার নির্দেশ

        এবার ইউরোপে শুল্ক আরোপের হুমকি

        মৌলভীবাজারে যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন আটক

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় আঘাত হানবে দুইটি ঝড়

        লস এঞ্জেলেসে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, ১০১ ফ্রিওয়েতে তীব্র যানজট

        প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে গ্র্যামিতে কান্ট্রি অ্যালবামের পুরস্কার

        অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ

        এলিমিনিটরে লড়াইয়ের আগে দলের শক্তিও বাড়ায় রংপুর

        কিছুদিন পর দেখব খুনিরা বাইরে

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের সফররত জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ১৭ জুলাই নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ ঘটবে।
আন্দোলনে ছাত্রলীগ এবং পুলিশ বাহিনীর যৌথ তান্ডবে ছাত্রদের মৃত্যু সারা দেশে লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার বেদীতে ছাত্রদের ঐতিহাসিক ভূমিকা, বিরোচিত ভূমিকা, আত্মত্যাগের ভূমিকা ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। সেই ছাত্রদেরকে গুলি করে হত্যা করে, ক্ষমতা থাকার সরকারের স্বপ্ন যেকোনো সময় দুঃস্বপ্নে হারিয়ে পরিণত হবে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,
দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করার আত্মঘাতী নীতি রাষ্ট্রকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। রাষ্ট্রের নিরাপরাধ নাগরিক দণ্ডিত হচ্ছে, দিনের পর দিন কারাগারে কাটাচ্ছে। কোনো সভ্য রাষ্ট্রে এটা চিন্তাও করা যায় না। শুধুমাত্র ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে গিয়ে সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে নৈতিকভাবে ধ্বংস ক’রে দেওয়া হয়েছে।রাষ্ট্রের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে লুণ্ঠন করা হচ্ছে।
বর্তমান সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতা ধ’রে রাখতে গিয়ে—রাষ্ট্রকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন ক’রে ফেলেছে। সরকার নৈতিকতার সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।বৈশ্বিক রাজনীতিতে সরকারের অবস্থান নাজুক হয়ে পড়ছে। ভূ-রাজনীতিতে সরকার জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ না করায় সরকারের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার নৈরাজ্য, সর্বত্র দুর্নীতি, অর্থ পাচার, উচ্চ দ্রব্যমূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতিতে জনজীবন দিশেহারা।
বিদ্যমান গণবিরোধী শাসক ও শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন করা ছাড়া কোনোক্রমেই স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব হবে না। এ পরিবর্তন হবে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মৌলিক রূপান্তর।
ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে সিরাজুল আলম খানের অংশীদারিত্বের রাজনৈতিক দর্শন এবং জেএসডি'র সভাপতি আ স ম আবদুর রব সংবিধান ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দশ দফা উত্থাপন করেছেন। অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র হচ্ছে সামাজিক শক্তির গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র, সকল মানুষের গণতন্ত্র। এর লক্ষ্য হলো বিদ্যমান গণতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করা। প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এটাই একমাত্র বিকল্প মডেল।সংবিধান ও রাষ্ট্রের সংস্কার এখন প্রধান এজেন্ডা । এ লক্ষ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ-সহ বিএনপি ৩১ দফা রূপরেখা জাতির সামনে হাজির করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্খাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জাতীয় নেতা আ স ম আবদুর রব ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে’র ডাক দিয়েছেন। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আইনগত, দর্শনগত ও নৈতিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে। শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন নয়; শাসন পদ্ধতির পরিবর্তন করাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
আমাদের সংবিধান ও রাষ্ট্র সংস্কারের কয়েকটি মৌলিক দিক:—
১) এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র নয়, ফেডারেল রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

২) দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট অর্থাৎ সমাজ শক্তির প্রতিনিধিত্ব সমন্বয়ে ‘উচ্চকক্ষ’ গঠন করতে হবে।
ক) প্রবাসীদের ভোটাধিকার থাকতে হবে।
খ) উচ্চকক্ষে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।
৩) বাংলাদেশে নয়টি প্রদেশ ও প্রাদেশিক সরকার গঠন করতে হবে।
৪) উপজেলাকে স্বশাসিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কার্যকর করতে হবে।
৫) জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করতে হবে।
৬) সাংবিধানিক জটিলতা নিরসনে সাংবিধানিক আদালত গঠন করতে হবে।
৭)বিচার বিভাগীয় কাউন্সিল অর্থাৎ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকতে হবে।
৮) অর্থনৈতিক উন্নয়নে মাইক্রোক্রেডি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।
৯) উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গঠন করতে হবে।
এখন আমাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব হচ্ছে—ঔপনিবেশিক শাসক ও শাসন ব্যবস্থা অপসারণ ও গণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। বড় ধরনের নৈতিক জাগরণ ছাড়া ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে না। তাই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধই হবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করার রক্ষাকবচ।
দেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাখতে হলে, বৈষম্যবিহীন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হলে, জাতীয়তাবাদকে উচ্চতর পর্যায়ে উপনীত করতে হলে—অবশ্যই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধকে সফল করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র জেএসডি'র আহ্বায়ক মোহাম্মদ এনামুল হায়দার।
যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুদ্দীন আহমেদ শামীম এর সঞ্চালনায়
বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র জেএসডি নেতা অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান,সরোয়ার হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক বকুল, এম এ মালেক, এম জাকির হোসেন স্বপন, তছলিম উদ্দিন খান, মোহাম্মদ রফিক উল্লাহ, গাজী আজম বাদল, মোহসিনুল রহমান খান সবুজ, ফরিদ উদ্দিন রতন সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,রিমন ইসলাম, নাজমুল আহসান, সাইদুর রহমান প্রমুখ। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত