শুক্রবার আবারও লস এঞ্জেলেসে বৃষ্টি, তবে সপ্তাহান্তে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে
মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহা্র
ভারত সরকার মালদ্বীপ থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে। রোববার এ কথা নিশ্চিত করেছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। খবর রয়টার্সের।
‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতি পরিবর্তন করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে ও প্রায় ৭৫ সদস্যের একটি ছোট ভারতীয় সামরিক উপস্থিতি অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের ক্ষমতায় আসেন মুইজ্জু।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আলোচনায় ভারত সরকার তাদের সেনা অপসারণে সম্মত হয়েছে। আমরা উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতেও সম্মত হয়েছি।’
ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনার পরে মুইজ্জু এই মন্তব্য করেছেন।
ভারত মালদ্বীপকে কিছু সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ, দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা ও সেখানে একটি নৌ ডকইয়ার্ড তৈরিতে সহায়তা করেছে।
নয়াদিল্লিতে ভারতের একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং উভয় পক্ষই ভারতের সহায়তার গুরুত্ব স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেছেন, মালদ্বীপ এই (ভারতীয়) প্ল্যাটফর্মগুলোর উপযোগিতা স্বীকার করেছে... কীভাবে তাদের সচল রাখা যায় সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। উভয় পক্ষ যে কোর গ্রুপ গঠন করতে সম্মত হয়েছে তারা কীভাবে এটিকে এগিয়ে নেওয়া সে বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ভারত ও চীন এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মুইজ্জুকে চীনপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ভারত মালদ্বীপকে দুটি হেলিকপ্টার ও একটি ডর্নিয়ার বিমান দিয়েছিল। এগুলা পরিচালনার জন্য বেশিরভাগ ভারতীয় সামরিক কর্মী দ্বীপটিতে ছিলেন।
গত মাসে শপথ গ্রহণের সময় মুইজ্জু বলেছিলেন, তিনি নিশ্চিত করবেন যে তার দেশে কোন বিদেশি সামরিক উপস্থিতি নেই।
তিনি ভারতের ভূ-বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলেন। তিনি মুইজ্জুর অভিষেক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন