ভারতে উঠে গেছে ডিজেলের রপ্তানি শুল্ক
ভারতে উৎপাদিত অপরিশোধিত জ্বালানি তেলে আবারও ‘উইন্ডফল ট্যাক্স’ (অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর) আরোপ করেছে দেশটির সরকার। টনপ্রতি ৬ হাজার ৪০০ রুপি করারোপ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিজেলের রপ্তানি শুল্ক তুলে নিয়েছে তারা।
ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের পাশাপাশি পেট্রল ও এভিয়েশন টারবাইন ফুয়েলে আগে যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তা অব্যাহত থাকবে।
আজ ১৯ এপ্রিল থেকেই নতুন এ শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস।
এর আগে ভারত সরকার সে দেশে উৎপাদিত পেট্রলের ওপর উইন্ডফল কর তুলে নেয় এবং ডিজেল রপ্তানিতে লেভি লিটারে ১ রুপি থেকে কমিয়ে ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছিল।
চলতি মাসের শুরুতে ওপেক ও তার সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দেওয়ার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যায়। তারপর ভারত সরকার নতুন করে উইন্ডফল করারোপের সিদ্ধান্ত নিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম অনেকটা বেড়ে যায়। ৭ বছরের মধ্যে প্রথম তা প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা কিছুক্ষণের জন্য ১৩৯ ডলারে উঠে যায়। তবে এর পর থেকে দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।
চলতি বছরের ১৭ মার্চ অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেল ৭২ দশমিক ৪৭ ডলারে নেমে আসে। তার পর থেকে আবার বাড়তে শুরু করে। ৩ এপ্রিল ওপেক তেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিলে দিন পাঁচেক আগে তা ৮৭ ডলার ছাড়িয়ে যায়।
এসব পদক্ষেপের কারণে সারা বিশ্বেই অর্থনীতি নিয়ে আবার শঙ্কা ঘনিয়ে উঠতে শুরু করে। জ্বালানির দাম আরও বাড়লে অদূর ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির হার বাড়বে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়।
চীনের শূন্য কোভিড নীতি থেকে বেরিয়ে আসা এবং সেখানে অর্থনৈতিক তৎপরতা বাড়ছে—এমন খবরে তেলের দাম আরও বৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু হঠাৎ তেলের দাম আবার কমতে শুরু করে। গতকাল একসময় ব্রেন্ট ক্রুডের দর ৮২ দশমিক ৪৪ ডলারে নেমে আসে। রাতের দিকে তা ছিল ৮৪ দশমিক ৪১ ডলার। আজ সকালে এ প্রতিবেদন লেখার সময় দাম ছিল ৮৪ দশমিক ৫৮ ডলার।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন