ক্যান্সার আক্রান্ত পুতিনকে বাঁচিয়ে রাখছে পশ্চিমা ওষুধ
জীবনের শেষ সময়ে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্যান্সার তাকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে পশ্চিমা ওষুধ। তবে তাতেও হয়ত শেষ রক্ষা হবে না। এটিই হতে পারে রাশিয়ার ক্ষমতায় তার শেষ বছর।
এক রাশিয়ান ইতিহাসবিদ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভ্যালেরি সলোভির বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট। খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও তাদের ওষুধই এখন প্রাণ বাচাচ্ছে পুতিনের। এই ওষুধ শরীরে ক্যান্সারের বিস্তার ধীর করে দেয়। সলোভি এক ইউক্রেনীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই ওষুধ না পেলে পুতিন এখন আর প্রকাশ্যে আসতে পারতেন না। তাকে পৃথিবীর সবথেকে আধুনিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রাশিয়ার পক্ষে এই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়।
ইউক্রেনীয় ইউটিউব চ্যানেল ‘ওডেসা ফিল্ম স্টুডিও’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে সলোভি দাবি করেন, পুতিনের এই চিকিৎসার বিষয়ে তিনি একদম নিশ্চিত। তিনি বলেন, এই চিকিৎসা ভালোভাবেই চলছে বলতে হবে কারণ পুতিনকে তারা বাঁচিয়ে রেখেছেন। তবে পুতিনের দিন ঘনিয়ে আসছে। পশ্চিমা ওষুধও তাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। শিগগিরই পুতিন মারা যাবেন বলে ইঙ্গিত দেন সলোভি।
গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকেই পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। এসব রিপোর্টে প্রায়ই দাবি করা হয়েছে, পুতিন ক্যান্সার আক্রান্ত কিংবা তার পার্কিনসন রোগ রয়েছে। কখনও বলা হচ্ছে, পুতিন সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পড়ে গেছেন এবং মলত্যাগ করে ফেলেছেন। তবে পশ্চিমা গণমাধ্যমের এসব খবরের কোনো পাল্টা জবাব বা প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি রাশিয়াকে।
ভ্লাদিমির পুতিন যদিও স্বাভাবিক জীবন যাপনই করছেন বলেই দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি তিনি রাশিয়ার তুলা শহরের একটি অস্ত্র কারখানা পর্যবেক্ষণ করতে যান। নিজেই বিভিন্ন সামরিক যান পরীক্ষা করেন। এর আগে তাকে রুশ সেনাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পেও বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র পরিচালনা করতে দেখা গেছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন