আবারও মিয়ানমারের ক্ষমতায় সু চির দল
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর নির্মম নির্যাতনের কারণে সারাবিশ্বে সমালোচিত অং সান সু চি দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) আবারও মিয়ানমারের ক্ষমতা বসছে। তবে দেশটির সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী দল নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)।
বিবিসি জানায়, ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দেশটির সাধারণ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল শুক্রবার ঘোষণা করা হয়।
মিয়ানমারের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৩২২টি আসন। শুক্রবার দেশটির নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৩৪৬টি আসন জিতে নিয়েছে এনএলডি।
এর আগে প্রাথমিক ফলাফলে সু চি নিজের দলের বিজয় দাবি করেন। তবে দেশটির সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী দল নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
করোনার বিধিনিষেধের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকে সুবিধা পাইয়ে দেয়া হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
এদিকে এনএলডি মুখপাত্র মনিওয়া অং শিন জানান, জনগণের সমর্থনে তারা ‘ভূমিধস’ জয় পেয়েছেন। এখন একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করাই তাদের লক্ষ্য।
২০১১ সালে পাঁচ দশকের সামরিক শাসন অবসানের পর দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো মিয়ানমারে। লাখ লাখ মানুষ ভোট দিলেও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয় মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ।
সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাখাইন, শান ও কাচিনের নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুর ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়।
ফলে আগ থেকেই এ নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা।
পাঁচ বছর আগের নির্বাচনেও ভূমিধস জয় পেয়েছিলেন অং সান সু চি।
যদিও নাগরিকত্ব নিয়ে সাংবিধানিক জটিলতায় প্রধানমন্ত্রীর পদ পাননি তিনি। আলাদা পদ সৃষ্টি করে তিনি হন স্টেট কাউন্সিলর।
দেশের ভেতরে তার জনপ্রিয়তা বাড়লেও রোহিঙ্গা নিপীড়ন ও গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় শান্তি নোবেল বিজয়ী এ নারীর।
শেয়ার করুন