আপডেট :

        স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার

        ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা

        ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা

        দশকের পর দশক ধরে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা

        অর্থনীতির উন্নয়নে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে

        মানুষের পকেট ব্যয় আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ

        শপথ নিলেন মার্ক কার্নি

        অপার্থিবের ‘আবছা নীল কণা’

        হিন্দু হয়েও মন্দিরে পুজো দিতে দেওয়া হত না

        নারায়ণগঞ্জে আরও দুই শিশুকে ধ র্ষ ণচেষ্টা

        রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারে ঈদ উদযাপন করতে পারে

        ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: ট্রাম্প

        চলতি বছর সবজি দাম তুলনামূলক কম

        সারকারখানার উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে দেশের প্রায় ৪শ হিমাগার

        জাল নোটসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

        পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বিশেষ দূতের দেখা

        বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান

        দুই বছরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি

        রমজানের শুভাচ্ছা জানালেন পুতিন

        রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার খেয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

মৃত কন্যাকে ছ'মাস ধরে খাইয়েছেন বাবা

মৃত কন্যাকে ছ'মাস ধরে খাইয়েছেন বাবা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মধ্য কলকাতার একটি আবাসিক ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ একজন মহিলা আর দুটি কুকুরের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে বুধবার সকালে।
ওই মহিলার বৃদ্ধ বাবার অগ্নিদগ্ধ দেহ-ও ওই ফ্ল্যাটে পাওয়া গেছে।
পুলিশ ওই মৃতের ভাইকে জেরা করে এক অদ্ভুত মানসিকবিকারগ্রস্ত পরিবারের কাহিনি জানতে পেরেছে।
পুলিশ বলছে, কলকাতায় শেকসপিয়ার সরণীর একটি ফ্ল্যাট থেকে মঙ্গলবার রাতে ধোঁয়া বেরতে দেখে তারা সেখানে যায় এবং ৭৭ বছর বয়সী অরবিন্দ দে-র অগ্নিদগ্ধ দেহ খুঁজে পায় বাথরুমে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
সেই সূত্রে পুলিশ যখন মিঃ দে-র ছেলে পার্থ দে-কে জেরা করতে শুরু করে, তখনই কাহিনি অন্য দিকে মোড় নেয়।
পুলিশের কাছে পার্থ দে জানান যে তাঁর বড় বোন দেবযানী গত ডিসেম্বরে মারা গেছেন। তার কঙ্কাল বাড়িতেই রয়েছে। সঙ্গে আছে গতবছর অগাস্টে মারা যাওয়া দুটি পোষা কুকুরের কঙ্কালও। পুলিশ ওই কঙ্কালগুলি উদ্ধার করে আর দেখতে পায় সম্পূর্ণ পোষাক পরিহিত দেবযানী দে-র কঙ্কালের পাশে প্রচুর খাবার পড়ে রয়েছে।
জেরায় পার্থ দে জানান প্রিয় কুকুর দুটি মারা যাওয়ার পরে তার বড় বোন একদম খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তার ফলেই ডিসেম্বরে মৃত্যু হয় একটি নামী স্কুলের সঙ্গীতের শিক্ষিকা মিস দের। কিন্তু ওই কুকুরদুটি বা নিজের বোনের সৎকার করেন নি পার্থ দে অথবা তার বাবা।
তারা কল্পনা করতেন মৃত দেবযানী আর তাদের প্রিয় কুকুরদুটি রোজই রাতের খাওয়ার সময়ে ফিরে আসে। সেজন্যই নিয়মিত খাবার দেওয়া হত। কঙ্কালদুটিকে নিয়েই বাবা আর ছেলে ঘুমোতেন গত ছয়মাস ধরে।
এমনকী নিজের বোনের গলার আওয়াজ ফ্ল্যাটের বিভিন্ন কোণে রাখা মিউজিক সিস্টেম থেকেও বাজানো হত।
পার্থ দে একটি নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন, কিন্তু সাত বছর আগে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।
পুলিশ বলছে গোটা পরিবারটি-ই সম্ভবত মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিল।
কঙ্কালগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।


শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত