আফ্রিকার আইভরি কোস্টের 'গোপন' স্বর্ণের খনি
সোনার খনিতে সোনা খোঁজারুদের ভিড়
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্ট। নাম শুনেই বোঝা যায় মহামূল্যবান হাতির দাঁত বা আইভরির সঙ্গে এই দেশটির একটি যোগসূত্র আছে। আইভরি কোস্টের পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর। এই মহাসাগর কূলের দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে চাষ হয় কোকোয়া। এটি একটি অর্থকরী ফসল। এ থেকে তৈরি হয় সুস্বাদু চকোলেট। বিস্তীর্ণ এই কোকোয়া ক্ষেতের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আইভরি কোস্টের একটি স্বর্ণের খনি। কোনো মানচিত্রে এই স্বর্ণের খনির অবস্থান দেখানো হয়নি। তাই বাইরের
কেউই এতদিন এর অবস্থান সম্পর্কে জানতই না। তাছাড়া ওই স্বর্ণের খনি থেকে স্বর্ণ আহরণও বেআইনি। কারণ এর থেকে কোনো ট্যাক্স দেওয়া হয় না, উপরন্তু খনিটি পরিচালনা করে একটি বাণিজ্যিক খনি পরিচালনা কোম্পানি।
খনিটি পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর রিপাবলিকান গার্ডের ডেপুটি কমান্ডারের অধীন। তিনি এটি থেকে উপার্জিত অর্থের মালিক। আইভরি কোস্টের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া কয়েকজন বিদ্রোহীর মধ্যে তিনি অন্যতম। এই সেনাবাহিনী দেশটির বিভিন্ন খনির ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এ সব খনি থেকে প্রতি বছর কয়েকশ' মিলিয়ন ডলার মূল্যের স্বর্ণ আহরিত হয়। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিম আইভরি কোস্টের গামিনা নামের এই লুকানো স্বর্ণের খনি থেকে প্রতিদিন আহরণ করা হয় প্রায় সাড়ে এগারো কেজি স্বর্ণ। এক বছরে এই খনি থেকে আহরিত হয় ৯৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের স্বর্ণ। গামিনা স্বর্ণের খনিতে কাজ করে প্রায় ১৬ হাজার কর্মী। তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখে সেনা সদস্যরা। যাতে কেউ এক কনা স্বর্ণও আত্মসাৎ করতে না পারে। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল গত মাসে খনিটি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আইভরি কোস্টের বার্ষিক স্বর্ণ উৎপাদনের প্রায় ১৩ দশমিক আট ভাগ এই খনি থেকেই আসে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বারশ' ডলার হিসেবে গামিনা খনির বার্ষিক উৎপাদিত স্বর্ণের মূল্য দাঁড়ায় ৯৬ দশমিক আট মিলিয়ন ডলারে। ডন অবলম্বনে।
শেয়ার করুন