শুক্রবার আবারও লস এঞ্জেলেসে বৃষ্টি, তবে সপ্তাহান্তে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে
চীনা বিজ্ঞানীদের যে সাফল্য সবার ভয়ের কারণ
বিজ্ঞানের উত্তরোত্তর সাফল্য
আসছে গবেষণার হাত ধরেই। নানা বিষয়ে গবেষণায়উৎসাহিত করতে সারা বিশ্বে প্রতি বছর ব্যয় করাহয় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। কিন্তু একটি বিষয়নিয়ে গবেষণা করা থেকে বিজ্ঞানীরা নিজেদেরবিরত রাখতে সম্মত হয়েছেন। সেটি হচ্ছে মানুষেরজন্মের আগে তার জিনের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করেফেলার উপর গবেষণা। নৈতিক অবস্থান থেকে চিন্তাকরে ইউরোপে এটি বেশ আগেই নিষিদ্ধ করা হয়।তবে চীনা বিজ্ঞানীরা এ সবের ধার-ধারছেন না।সম্প্রতি তারা বিশ্বে প্রথমবারের মতো মানব-জিনের মধ্যে পরিবর্তন আনার সফল পরীক্ষাচালিয়েছেন। দেশটির সান ইয়াৎসেনবিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন যে,তারা থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ ঘটায় এমন একটিজিনের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে দিতে সক্ষমহয়েছেন।জুনজিউ হুয়াংয়ের নেতৃত্বে এই গবেষক দল অবশ্য এরমাধ্যমে ভবিষ্যতে ‘নিজের পছন্দের জেনেটিকবৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে নেয়া প্রজন্ম’ তৈরিরআশংকাকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তারা যেটিকেপরিবর্তন করেছেন সেটি কোনো সক্রিয় জিন ছিলনা। ফলে তা থেকে কখনো বাচ্চা জন্ম নেবে না।কিন্তু সমালোচকরা বিজ্ঞানীদের এমন কথাতেবিশ্বাস রাখতে পারছে না। তাদের আশংকা, ‘পছন্দঅনুযায়ী বাচ্চাদের জিনগত বৈশিষ্ট্যনির্ধারণের’ পথে এটি প্রথম পদক্ষেপ।বিজ্ঞানীদের এ ধরনের গবেষণা থেকে বিরত রাখতেআহ্বান জানিয়েছেন সমালোচকরা। পাশপাশি সারাবিশ্বে এ ধরনের চর্চার উপর নিষেধাজ্ঞা চানতারা।চীনা বিজ্ঞানীদের এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশেনৈতিক অবস্থান থেকে অসম্মতি জানায়বিশ্ববিখ্যাত দুই বিজ্ঞান গবেষণা জার্নাল‘ন্যাচার’ এবং ‘সাইন্স’ ম্যাগাজিন। পরে তা প্রকাশকরে ‘প্রোটিন এন্ড সেল’ নামের অন্য একটিজার্নাল। হিউম্যান জেনেটিক্স এলার্ট-এরপরিচালক ড. ডেভিড কিং বলেন, এই সংবাদবিশ্বব্যাপী এমন কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞাজারির গুরুত্বটা আবার বুঝিয়ে দিচ্ছে।আমার মনে হচ্ছে, এমন একটা ভবিষ্যৎ ঠেকানোআমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে যখন ধনীরা তাদেরশিশুদের জন্য বিভিন্ন জিনগত সুবিধাগুলো কিনেনিতে পারবে, বলছিলেন ড. কিং। যেহেতুথ্যালাসেমিয়া উপশমের বহু নৈতিক পথ রয়েছে ফলেএ ধরনের গবেষণা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। শুধুইতিহাসের বইয়ে নিজেদের নাম লেখানোর জন্য এইঅনৈতিক গবেষণা করা হচ্ছে। সূত্র : দ্যটেলিগ্রাফ।
শেয়ার করুন