আপডেট :

        আহত বিড়াল ফেলে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

        সৎমায়ের হাতে ২০ বছর বন্দী যুবক!

        পিকো রিভেরায় টর্নেডোর আঘাত, ভেঙে পড়েছে গাছ ও বিদ্যুৎ লাইন

        টাকা পরিশোধ না করলে ন্যাটোর পাশে থাকব না বললেন ট্রাম্প

        এলডিসি থেকে উত্তরণ আগামী বছরই

        ‘লজ্জিত, ক্ষমার অযোগ্য আমরা’

        পরিচয় চুরি ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি

        শক্তিশালী ঝড়ের আঘাতে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ে তুষারপাত, বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাস

        কুয়েতে বন্দি ছয় মার্কিন নাগরিক মুক্ত, যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলেন

        আজ বিকেলে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ‘ব্লাড ওয়ার্ম মুন’ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখার সেরা সময়

        প্রতারণার মাধ্যমে এফইএমএ’র ত্রাণ তহবিল আত্মসাতের অভিযোগ

        ৭১ বছর বয়সী হাইকার সান গ্যাব্রিয়েল পাহাড়ে নিখোঁজ

        লোমা লিন্ডা হাসপাতালে 'সোয়াটিং কল' এ কর্তৃপক্ষের সায়

        ক্যালিফোর্নিয়ার সৈকতে সি লায়ন হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্তের সন্ধানে পুলিশ

        কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার শপথ নিবেন কার্নি

        শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

        আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর: বাপ্পারাজ

        মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশেষ সম্মান জানালো আইসিসি

        যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াও চাপে

উইঘুর নারীদের সঙ্গে রাত কাটাতে পাঠানো হয় চীনা পুরুষদের

উইঘুর নারীদের সঙ্গে রাত কাটাতে পাঠানো হয় চীনা পুরুষদের


উইঘুর মুসলিম নারীদের ওপর নতুন ধাঁচের নির্যাতন শুরু করেছে চীন সরকার। ‘জোড়াবদ্ধ ও পরিবার হওয়া’ কর্মসূচির আওতায় শিনজিয়াংয়ে উইঘুর নারীদের সঙ্গে রাত কাটাতে তাদের বাড়িতেই পাঠানো হচ্ছে চীনা হান সম্প্রদায়ের পুরুষদের। হান পুরুষদের সঙ্গে যেসব নারীদের রাত কাটাতে বাধ্য করা হচ্ছে, তাদের অধিকাংশের স্বামীই চীনের বন্দিশিবিরে আটক রয়েছে।

২০১৭ সালে এই কর্মসূচি চালু করা হয়। সম্প্রতি রেডিও ফ্রি এশিয়া অজ্ঞাতনামা দুই চীনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। পরিস্থিতি এতোটাই ভয়ঙ্কর যে, একই বিছানায় একাধিক পুরুষের সঙ্গে ঘুমাতে বাধ্য হচ্ছে উইঘুর নারীরা।

এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণত একটি বিছানায় এক জন কিংবা দুজন ঘুমায়। তবে তাপমাত্রা যদি বেশি শীতল হয় তাহলে সেখানে তিন জনও ঘুমায়। সঙ্গী পুরুষের স্বজনের সঙ্গে একই বিছানায় নারীদের ঘুমানো এখন স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়’।

‘স্বজন’ বলতে সেইসব পুরুষদের বোঝানো হয় যারা ওই নারীর পরিবারের সদস্য নয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চীনা পুরুষরা উইঘুরদের বাড়িতে একটানা ছয় দিন অবস্থান করে। তারা ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করে এবং তাদের খাওয়াদাওয়াটাও হয় একসঙ্গে। এই সময় তারা কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শ নিয়ে আলোচনা করে।

আরেক চীনা কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা ওই পরিবারটিকে মতাদর্শ দিয়ে সাহায্য করে, তাদেরকে নতুন চিন্তাচেতনায় নিয়ে আসা হয়। তারা জীবন নিয়ে কথা বলে। আর এই সময়ে তারা একে অন্যের প্রতি অনুভূতি জাগ্রত করার চেষ্টা করে’।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত উইঘুর মুসলিম রুশান আব্বাস একটি অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি উইঘুর নারীদের পদ্ধতিগত ধর্ষণ’।

তিনি বলেন, ‘এটা গর্ণধর্ষণ। উইঘুর নারীদের বিয়ের জন্য সরকার হান পুরুষদের অর্থ,বাড়ি ও চাকরি দিচ্ছে’।

রুশান জানান, এই ধরনের পুরুষদের প্রত্যাখ্যান করা অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে উইঘুর নারীদের জন্য। কারণ প্রত্যাখ্যান করা হলে তাদেরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন,‘মেয়ে অথবা তার পরিবারের সদস্যরা এ ধরনের বিয়ে প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। কারণ নাস্তিক হান চীনাদের প্রত্যাখ্যান করা হলে তাদেরকে ইসলামি  চরমপন্থি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বছরের পর বছর ধরে বিয়ের নামে উইঘুর নারীদের ধর্ষণ করে যাচ্ছে চীনারা’।

মানবাধিকার সংস্থাগুলির হিসেবে শিনজিয়াংয়ে চীনের বন্দিশিবিরে আটক রাখা হয়েছে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলমানকে। তথাকথিত এই ‘পুনঃশিক্ষা শিবিরে’ প্রহার, ধর্ষণসহ সব ধরনের নির্যাতন চলে বলেও দাবি তাদের।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত