আর্কাডিয়ায় বাড়িতে অনুপ্রবেশকারীর গুলিতে ৬১ বছর বয়সী পিতার মৃত্যু; সন্দেহভাজন পলাতক
তারেক বদ্ধউন্মাদ: আবদুল গাফফার চৌধুরী
আবদুল গাফফার চৌধুরী -ফাইল ছবি
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, 'তারেক রহমান একটা উন্মাদ। তাকে বদ্ধউন্মাদ বললেও কম বলা হয়।'তারেক বদ্ধউন্মাদ: আবদুল গাফফার চৌধুরী
বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার লন্ডনে এক আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দাবি করেন, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আসার ঠিক আগে ইয়াহিয়া খানকে প্রেসিডেন্ট মেনে তার সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি 'রাজাকার, খুনি ও পাকবন্ধু'।
এ প্রসঙ্গে আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, 'কোনো উন্মাদের কথায় বাংলাদেশে কিছু যায়-আসে না। মীর জাফরের পুত্র মিরনের মতো দশা হয়েছে তারেক রহমানের। মিরনও দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। জীবনের শেষ দিনগুলোতে খুব দর্দশায় কেটেছে। এভাবেই তার মৃত্যু হয়েছিল। তারেক রহমানেরও একই পরিণতি হবে।'
আজ সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে অগ্রণী রিসার্চ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আয়োজিত 'ইতিহাসের আলোকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও ৭ মার্চের তাৎপর্য' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আরও বলেন, 'লন্ডনে লাখ লাখ পাউণ্ড খরচ করে হল ভাড়া করে সে (তারেক রহমান) যে ভাষণ দেয় সেই টাকা কোখায় পায়? ইতিহাসের যেসব বিষয়ে তারেক বক্তব্য দিচ্ছে সেসব বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার যোগ্যতা ও পড়াশুনা তার নেই। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা জামায়াত-শিবিরের কিছু লোকজন তারেককে এসব বক্তব্য দিতে উদ্বুদ্ধ করে।'
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে একবার একটা কাজে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম জিয়াউর রহমান কোমরের বেল্ট দিয়ে একটা বালককে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। পেছনে খালেদা জিয়া দাঁড়িয়ে আছেন। জানতে চাইলাম, মেজর সাহেব তাকে এতো পেটাচ্ছেন কেন? সেই তো মারা যাবে। তখন জিয়াউর রহমান আমাকে বললেন, বদমাশটা স্কুল থেকে বহিস্কার হয়েছে। পরে জানলাম ওই বালক জিয়াউর রহমানের জেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান। মেয়েদের চুমু খাওয়ার অপরাধে বিএফ শাহীন কলেজ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। এই সেই তারেক রহমান।'
শেয়ার করুন