আর্কাডিয়ায় বাড়িতে অনুপ্রবেশকারীর গুলিতে ৬১ বছর বয়সী পিতার মৃত্যু; সন্দেহভাজন পলাতক
জৈব সার ব্যবহারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা- ফইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিরিক্ত মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহারের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করে তোলার প্রতি গুরুত্ব আরোপ এবং সকল কৃষির সকল ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ও সমন্বিত পতঙ্গ ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের আহবান জানিয়েছেন।জৈব সার ব্যবহারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জৈব সার ব্যবহারের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাটির উর্বরতা, মৎস্য ও মিঠাপানির উৎসসমূহ রক্ষায় এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।আজ শনিবার নগরীর ওসমানী মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার-১৪১৯’ বিতরণকালে পেশা হিসেবে কৃষিকে উপেক্ষা না করার জন্য শিক্ষিত কৃষকদের প্রতি আহবান জানান। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, ‘সকল আধুনিক প্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট তথ্যজ্ঞান প্রয়োগ করে পৈতৃক খামারে শিক্ষিত যুবকরা আত্মকর্মসংস্থান খুঁজে নেবে এটি একটি গর্বের বিষয়।’শেখ হাসিনা ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, তার সরকারের বর্তমান মেয়াদের আগামী ৪ বছরে দারিদ্র্য ১০ শতাংশ কমিয়ে আনবে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম নাজমুল ইসলাম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।কৃষি খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৩০ ব্যক্তি ও সংস্থাকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪১৯’ প্রদান করা হয়েছে।এদের মধ্যে ৫ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, ৮ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে রূপা ও ১৭ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যেকোন সম্ভাব্য দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার করার লক্ষ্যে তার সরকার কৃষিখাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।এই লক্ষ্যে তার সরকার সার, সেচ, জ্বালানী এবং কৃষি যন্ত্রপাতি জনগণের কাছে সহজলভ্য করাসহ কৃষিখাতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের কৃষিখাতে যেকোন সহায়তা করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থাগুলো অনাগ্রহী। তাদের অসম্মতির বিষয়টি বুঝতে পেরেই কৃষির বিষয়টিকে জাতীয় দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছে সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ছয় বছরে কৃষিখাতের উন্নয়নে ৪৩ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, উপরন্তু কৃষি যন্ত্রপাতির জন্য ২৫ শতাংশ ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।কৃষকদেরকে কৃষি সহায়তা কার্ড দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদেরকে মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
কোন জামানত দিতে না পারার কারণে সাধারণত বর্গাচাষীদেরকে কোন ব্যাংক ঋণ দেয়া হতো না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেই নিয়ম বাদ দিয়ে বর্গা চাষীদেরকেও খুবই স্বল্প সুদে ঋণ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি সহায়তা শুধু ধানেরই নয়, বরং শাক-সবজি, ফলমূল, দুধ, ডিম, মাছ এবং মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মিঠা পানির মাছ উৎপাদনকারী রাষ্ট্র বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শেয়ার করুন