আপডেট :

        আহত বিড়াল ফেলে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

        সৎমায়ের হাতে ২০ বছর বন্দী যুবক!

        পিকো রিভেরায় টর্নেডোর আঘাত, ভেঙে পড়েছে গাছ ও বিদ্যুৎ লাইন

        টাকা পরিশোধ না করলে ন্যাটোর পাশে থাকব না বললেন ট্রাম্প

        এলডিসি থেকে উত্তরণ আগামী বছরই

        ‘লজ্জিত, ক্ষমার অযোগ্য আমরা’

        পরিচয় চুরি ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি

        শক্তিশালী ঝড়ের আঘাতে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ে তুষারপাত, বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাস

        কুয়েতে বন্দি ছয় মার্কিন নাগরিক মুক্ত, যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলেন

        আজ বিকেলে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ‘ব্লাড ওয়ার্ম মুন’ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখার সেরা সময়

        প্রতারণার মাধ্যমে এফইএমএ’র ত্রাণ তহবিল আত্মসাতের অভিযোগ

        ৭১ বছর বয়সী হাইকার সান গ্যাব্রিয়েল পাহাড়ে নিখোঁজ

        লোমা লিন্ডা হাসপাতালে 'সোয়াটিং কল' এ কর্তৃপক্ষের সায়

        ক্যালিফোর্নিয়ার সৈকতে সি লায়ন হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্তের সন্ধানে পুলিশ

        কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার শপথ নিবেন কার্নি

        শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

        আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর: বাপ্পারাজ

        মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশেষ সম্মান জানালো আইসিসি

        যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াও চাপে

কীভাবে এই বায়ুদূষণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়

কীভাবে এই বায়ুদূষণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ প্রতিনিয়ত ভয়াবহতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে কীভাবে এই বায়ুদূষণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়-তার আপাতত জোরালো কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এমন অবস্থায় অ্যাজমা ও শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো ঘরে ঘরে দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।


সিদরাত জেবিন (৩০) নামে একজন চিকিৎসক- যিনি দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানিতে ভুগছিলেন, গত সোমবার তিনি মারা যান। মৃত্যুর কিছু ঘণ্টা আগে তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছিলেন।

পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের কারণ কী? এত প্রকৌশলী থাকার পরও দূষণের কারণ নিয়ে কোনো তথ্য নেই। কেউ কি বাতাসের মান আদৌ খতিয়ে দেখছে? মনে হয় না শুধু ধুলো আর নির্মাণসামগ্রীর জন্য এই অবস্থা। কিছু এলাকায় বাতাসে নিশ্চয়ই বিষাক্ত গ্যাস আছে... এটা খুবই হতাশাজনক কারণ আমাদের শহরে কেউ এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছে না।

সিদরাত জেবিনের মৃত্যুর সময় ঢাকার বায়ুমান খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল। জেবিনের মৃত্যুর পরের দিন মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৬ নগরীর মধ্যে শীর্ষে ছিল ঢাকা।

এরপর গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ২৪৯। বায়ুর এই মানকে খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই মানে বিশ্বে বায়ুদূষণে গতকাল দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে ছিল ঢাকা। আর ৩১০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের ১২৪ শহরের মধ্যে শীর্ষে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। 

ঢাকার এমন বায়ুদূষণে অনেকেই চাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ জোরালো পদক্ষেপ নিক। তবে এমন অবস্থায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সবাইকে বাইরে গেলে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে। সেইসঙ্গে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

বায়ু

পরিবেশবিদ ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ বর্জ্য পোড়ানো, উন্নয়ন কাজ, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, ইটভাটা এবং সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসা দূষিত বাতাসসহ অন্যান্য কারণ। 

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।

এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত