আপডেট :

        শেখ মুজিবের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিলো ছাত্র-জনতা

        সরকার পদক্ষেপ নেবে আশ্বাসে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার

        সরকার পদক্ষেপ নেবে আশ্বাসে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার

        ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকিতে কাঁপছে ভারত

        আধ্যাত্মিক নেতা আগা খানের মৃত্যু

        গাজার দখল নিতে চান ট্রাম্প

        যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাব দিতে চীনের ৫ পদক্ষেপ

        ‘সিরিয়াস গার্লফ্রেন্ড’ পলাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিল গেটস

        বাংলায় রায় হাইকোর্ট এর

        গাজীপুরে বেক্সিমকোর কারখানা বন্ধ ঘোষণা

        নির্বাচনের ছাড়া এই মুহূর্তে বিএনপির কোনো রাজনীতি নেই

        হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ

        আসছে নতুন দল: উপদেষ্টা নাহিদ

        ঢাকায় এসে নিখোঁজ হওয়া সুবাকে দেখা গেল ক্যামেরায়

        ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ

        ইমিগ্রেন্ট ছাড়া একদিন: লস এঞ্জেলেসের প্রতিবাদ রাতেও অব্যাহত

        ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ

        মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ স্থগিত, চীনের সঙ্গেও আলোচনা হবে

        যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্ক চীনের

        নিউইয়র্কে বাড়ির সামনে বাংলাদেশিকে গুলি

টকশোতে উস্কানী দিলেই আইনানুগ ব্যবস্থা

টকশোতে উস্কানী দিলেই আইনানুগ ব্যবস্থা

টেলিভিশনের টকশোগুলোতে যারা বিএনপি-জামায়াতকে নাশকতার উস্কানী দিচ্ছে তাদের মনিটরিং করা হচ্ছে। আর তারা যদি উস্কানী দিয়েই থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের ১৫তম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা।

তিনি বলেন, 'টকশোতে যারা এ নাশকতার উষ্কানী দিচ্ছে তাদেরকে আমরা মনিটরিং করছি। যদি তারা সত্যি উষ্কানী দেয় তা হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।' এ সময় ড. কামাল হোসেন-মাহমুদুর রহমান মান্নাদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেছেন, 'তাদের খায়েশ পূরণ হবে না।'

টিভি আলোচকদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার যদি কোনো অপরাধ করে সমালোচনা করুক। ঠিক এ ধরনের মানুষ হত্যা করা বা এ ধরনের ঘটনার উস্কানি দেওয়া- তাহলে তারাও সমানভাবে অপরাধী হয়ে যাবে। খুনের দায় দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।”তিনি জানান, হত্যাকাণ্ড কখনো গ্রহণযোগ্য না। এ ধরনের জঘন্য ঘটনা পৃথিবীর কেউ কখনো দেখে নি, দেশের জনগন তা সহ্য করবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকে মানুষের জীবন নিয়ে খেলে, লাশ ফেলে, মানুষকে পুড়িয়ে কিছু লোক এখান থেকে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। যারা জীবনে দল করতে পারে না, নির্বাচনে করতে পারে না কিন্তু তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ। আর তাদের খায়েশ মেটাতে গিয়ে শত শত মানুষ পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাচ্ছে, সেদিকে তাদের দৃষ্টি নেই।”

কামাল হোসেন-মান্নাদের কাছে নিজের প্রত্যাশার কথাও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবচেয়ে দুঃখ লাগে- যেদিন দেখলাম খালেদা জিয়ার পুত্র মারা যাওয়ার পর শোক জানাতে গেল ড. কামাল হোসেন, মান্না এ গং, তারা সব সময় হরতালের বিরুদ্ধে কথা বলে, ভেবেছিলাম তারা অন্তত খালেদা জিয়াকে এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে অনুরোধ করবে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করা হোক, বিএনপি নেত্রীও সুযোগ খোঁজবে কীভাবে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করা যায়। আমি কিন্তু সে আশায় ছিলাম, এটাই করবে। মতিয়া আপা আমার সঙ্গে ছিলেন। আমি তাকে বলেছিলাম, নিশ্চয়ই মান্না-কামাল সাহেবরা অনুরোধ করবেন। খালেদা জিয়া মেনে নেবে। আমরা খুব অবাক হয়ে গেলাম, এনাদের মুখ দিয়ে একটিবারের জন্য হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করার কথা বের হল না। তারা একবারও বলল না।”

সুশীল সেজে রাজনীতিকরা টিভি টকশোতে গিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা জানান, দুর্ভাগ্য এ দেশের ইনারা এতো বড় বড় নেতা, তারা একদিকে রাজনীতিক দলও করে, একাধারে আবার সুশীলও হয়ে যায়, টিভি টকশোও করে।'

সুশীলদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা টকশো করে তারা ক’জন মানুষের খবর নিয়েছেন, ক'জনকে সাহায্য করেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের খবর নিয়েছেন?

৯৬ শাসনামলের কথা তুলে ধরে তিনি জানান, তার সরকারের আমলে দেশে বেসরকারি টিভি চালু করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, 'আজকে সেখানে বসে [টিভি টকশোতে] মানুষকে উস্কানি দেয় তারা। তাদের আমি বলবো- অন্তত খালেদা জিয়াকে মানুষ মারা বন্ধ করার আবেদনটা করবে। তিনি মানুষ পোড়ানো বন্ধ করেন, অবরোধ-হরতালের নামে খুন-খারাবিটা যেন বন্ধ করে।'

তিনি বলেন, 'তাদের একটা কথা কি, আর কটা দিন যাক একটা ঘটনা ঘটবে, কি ঘটনাটা ঘটবে। কেউ তাদের চেয়ারে রেখে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। একটার পর একটা মানুষের লাশ ফেলে যাচ্ছে। এ আশায় বসে আছে। নিজের ক্ষমতার লোভে মানুষ হত্যা, এটা কোন ধরনের রাজনীতি।'

বিভিন্ন কথা বললেও এখনো ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়ানোয় কামাল-মান্নার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'কামাল হোসেন-মান্নাসহ যারা এত কথা বলছেন তারা ক’জন বার্ন ইউনিটে গেছেন, রোগীদের খবর নিয়েছেন? বার্ন ইউনিটে না গেলেও হাসপপাতালেও তো যান নি। রোগীদেরি আর্থিক সাহায্যও করেন নি তারা।'

তিনি বলেন, 'ওনারা বসে আছে কখন খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা করবে, এমন একটা ঘটনা করবে, লাশের পথ বেয়ে ক্ষমতা দখল করতে পারবে ওনারা। এ ধরনের চিন্তা নিয়ে ওনারা আছেন। ওনাদের সে আকাঙ্খা পূরণ হবে না। তাদের এ আশা নিরাশাই হবে।'

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত