একবার প্রধানমন্ত্রী হলে পরে রাষ্ট্রপতি নয়, এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ বিষয়ক চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করেছে ইউক্রেন
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদভিত্তিক একটি চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিদেনকো জানিয়েছেন, এই সমঝোতা স্মারকটি একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির ভিত্তি স্থাপন করবে।
সভিরিদেনকো আরও জানান, চূড়ান্ত চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেন পুনর্গঠনের জন্য একটি বিনিয়োগ তহবিল গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারাও আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চুক্তিটি সম্পন্ন হতে পারে।
তবে ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রকাশ্য বাদানুবাদের কারণে আলোচনায় সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটে।
সভিরিদেনকো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ চুক্তির খসড়া স্বাক্ষরের ঘোষণা দেন, তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তার পোস্টে দেখা যায়, তিনি ও মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট আলাদাভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন।
সভিরিদেনকো লেখেন, "আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি এবং ইউক্রেন পুনর্গঠনের জন্য বিনিয়োগ তহবিল গঠনের পথ তৈরি করবে।"
চুক্তি স্বাক্ষর অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় এবং বেসেন্ট বলেন, "এটি মূলত পূর্বে যে বিষয়ে আমাদের বোঝাপড়া হয়েছিল তারই একটি উন্নত সংস্করণ। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যখন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন, তখন একটি সমঝোতা হয়েছিল। এখন আমরা সরাসরি একটি বৃহৎ চুক্তির দিকে যাচ্ছি, এটি প্রায় ৮০ পৃষ্ঠার একটি দলিল এবং সেটিই আমরা স্বাক্ষর করব।"
একই বিষয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পও ইঙ্গিত দেন, "আমাদের একটি খনিজ সম্পদ চুক্তি হয়েছে, যা সম্ভবত আগামী বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত হবে। আশা করছি তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করবে। দেখা যাক কী হয়।"
তবে হোয়াইট হাউস এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ, তেল ও গ্যাসে প্রবেশাধিকার পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, "ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড" বা বিনিয়োগ তহবিলটি কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে।
জেলেনস্কি আশা করেছিলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে তিনি একটি মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেতে পারেন, যা একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির সময় ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। তবে ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে যায়।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন