ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নর নির্বাচনে এগিয়ে কামালা হ্যারিস, বলছে নতুন জরিপ
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতিঃ বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
শুল্ক হলো আমদানি পণ্যের উপর আরোপিত কর, যা একটি দেশ তার বাজারে প্রবেশ করা বিদেশি পণ্যের উপর ধার্য করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা প্রদান, রাজস্ব সংগ্রহ, এবং বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করা। শুল্কের ফলে আমদানি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়, যা স্থানীয় পণ্যের প্রতিযোগিতামূলকতা বাড়ায়।
২০২৫ সালের ৯ এপ্রিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বিস্তৃত শুল্ক পরিকল্পনা কার্যকর করেছেন, যা প্রায় ৯০টি দেশকে প্রভাবিত করেছে। বিশেষ করে, চীনা আমদানির উপর ১০৪% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা পূর্বের ২০% শুল্ক, ৩৪% প্রতিপালন ফি এবং নতুন ৫০% প্রতিশোধমূলক শুল্কের সমন্বয়ে গঠিত। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
এই শুল্ক নীতির ফলে বৈশ্বিক বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক দুই দিনে ১০.৫% হ্রাস পেয়েছে, ডাও জোন্স ডিসেম্বরের শীর্ষ থেকে ১০% নিচে নেমেছে, এবং নাসডাক বাজার মন্দার সম্মুখীন হয়েছে। চীন এই শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তি দিয়েছে যে এই শুল্ক নীতি দেশীয় উৎপাদন পুনরুজ্জীবিত করবে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে। তবে, অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে এই ধরনের পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তারা আরও উল্লেখ করেছেন যে শুল্কের ফলে ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই শুল্ক নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলিও প্রভাবিত হয়েছে, যেমন ইসরায়েল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া, যাদের উপর ১৭% থেকে ২৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এই দেশগুলির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উপর এই শুল্কের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বৈশ্বিক বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর প্রশ্ন তুলেছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন