আপডেট :

        ভেনচুরা কাউন্টিতে গ্যাং-সম্পর্কিত হামলার ঘটনায় ৪ সন্দেহভাজন গ্রেফতার

        লস এঞ্জেলেসে বিনামূল্যে জাদুঘর পরিদর্শনের সুযোগ!

        যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করে বহিষ্কার কার্যক্রমে বাধা পেলেন ট্রাম্প

        উত্তর মেসিডোনিয়ার নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত অন্তত ৫৯

        ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম আমেরিকান হিসেবে লস এঞ্জেলেস ম্যারাথন জিতলেন ম্যাট রিচম্যান

        ফুলারটনে বাবাকে ছুরি দিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের গুলিতে নিহত ১৯ বছর বয়সী যুবক

        যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুখী শহর ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্ট —ছয় বছর ধরে শীর্ষে

        ইউরোপীয় নেতাদের ‘আদুরে কুকুরছানা’ বললেন পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ

        ইসিকে তিনটি বার্তা দিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন

        জিন হ্যাকম্যানের সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াই

        এ বছর স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান থাকছে না

        ইফতারে বানিয়ে ফেলুন ভিন্নস্বাদের শরবত

        ল্যাঙ্কাস্টারে শিশু মৃত অবস্থায় উদ্ধার, তদন্ত করছে পুলিশ

        আজুসার বাড়িতে ছুরিকাঘাতে নিহত দুইজন, একজন আটক

        এলএ ম্যারাথনের কারণে রবিবার ভোরে সড়ক বন্ধ থাকবে

        ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মী ছুটিতে যাচ্ছেন

        কারাগার থেকে পালানো বন্দিকে পুনরায় আটক

        ট্রাম্পের হুমকি: ইউরোপীয় ওয়াইনের ওপর ২০০% শুল্ক, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা

        যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড ভারতে

        রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফের পরিচালক নিহত

যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করে বহিষ্কার কার্যক্রমে বাধা পেলেন ট্রাম্প

যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করে বহিষ্কার কার্যক্রমে বাধা পেলেন ট্রাম্প

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

এক মার্কিন ফেডারেল বিচারক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর ২২৫ বছর পুরোনো যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করে ভেনেজুয়েলানদের গণ-বহিষ্কার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে ভেনেজুয়েলার অপরাধী সংগঠন "ট্রেন দে আরাগুয়া" যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে "অনিয়মিত যুদ্ধ" চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ১৭৯৮ সালের ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ ব্যবহার করে তিনি তাদের নির্বাসনে পাঠাবেন।

তবে ওই রাতেই মার্কিন জেলা বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ ট্রাম্পের ঘোষণার আওতাভুক্ত সমস্ত বহিষ্কার কার্যক্রম ১৪ দিনের জন্য স্থগিত করেন। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, বিচারক শুনানির সময় জানতে পারেন যে বহিষ্কারের জন্য বিমান ইতোমধ্যে উড্ডয়ন করেছে এবং তিনি সেগুলো ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন।

যুদ্ধকালীন আইন কেন বিতর্কিত?

এই আইনটি শুধুমাত্র যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ ব্যক্তিদের আটকের অনুমতি দেয়। এটি সর্বশেষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি বংশোদ্ভূতদের আটক করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।

শনিবার ট্রাম্পের ঘোষণায় খুব বেশি বিস্ময় দেখা যায়নি, কারণ তিনি নির্বাচনী প্রচারের সময় অবৈধ অভিবাসন কঠোরভাবে দমন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেন, "ট্রেন দে আরাগুয়া" গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ও অপরাধ করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল পিন্টো ট্রাম্পের পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন,

"ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের অন্যায়ভাবে অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।"

বিচারক কেন স্থগিতাদেশ দিলেন?

এই ঘোষণার বিরুদ্ধে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (ACLU) এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো ট্রাম্পকে আটকাতে আইনি লড়াই শুরু করে।

এক শুনানিতে বিচারক বোয়াসবার্গ বলেন,

"এই আইনের 'আক্রমণ' বা 'বিধ্বংসী অনুপ্রবেশ' শব্দগুলো প্রকৃতপক্ষে শত্রু রাষ্ট্রের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধকালীন কর্মসূচির জন্য ব্যবহৃত হয়।"

তিনি মনে করেন, ট্রাম্পের প্রশাসনের এই আইন ব্যবহারের যৌক্তিকতা দুর্বল।

গণ-বহিষ্কারের পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ

ট্রাম্পের ঘোষণায় বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ১৪ বছরের বেশি বয়সী, ট্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য এবং যারা নাগরিকত্ব পাননি বা স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাদের আটক ও বহিষ্কার করা হবে।

তবে ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে কোনো ব্যক্তিকে এই গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে শনাক্ত করবে, তা ঘোষণা করেননি।

আইন বিশেষজ্ঞ ক্যাথেরিন ইয়ন ইব্রাইট বলেন,

"ট্রাম্প প্রশাসন যথাযথ প্রমাণ ছাড়াই গণগ্রেফতার ও বহিষ্কার করতে চায়। তার লক্ষ্য হলো, আদালতে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন না করেই মানুষকে নির্বাসিত করা।"

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্পের প্রশাসন যেকোনো ভেনেজুয়েলানকে শুধুমাত্র তাদের জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রা বানাতে পারে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

এখন কী হবে?

বিচারকের আদেশ অনুযায়ী, এই আইনের আওতায় অভিবাসীদের বহিষ্কার অস্থায়ীভাবে স্থগিত রয়েছে। তবে মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে।

এই বিতর্কিত পদক্ষেপ ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ তিনি নির্বাচনী প্রচারে অভিবাসন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে দ্রুত কাজ করছেন।

কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই আইনের ব্যবহারকে অভূতপূর্ব ও সাংবিধানিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ বলে আখ্যা দিয়েছে, কারণ এটি শুধুমাত্র যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য প্রণীত হয়েছিল এবং সংবিধান অনুযায়ী, শুধুমাত্র কংগ্রেস যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে।

 এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত