লস এঞ্জেলেস কাউন্টির বাসিন্দাদের জন্য কর ফাইলিংয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে
তুলসী গ্যাবার্ড হলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক (ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স - DNI) হিসেবে সাবেক কংগ্রেস সদস্য তুলসী গ্যাবার্ডের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে মার্কিন সিনেট। তুলসী, যিনি আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ছিলেন, এখন রিপাবলিকান ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তবে গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলনামূলক কম বলে মনে করা হয়।
গতকাল বুধবার সিনেটে ৫২-৪৮ ভোটের ব্যবধানে তাঁর মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়। রিপাবলিকানদের পূর্ণ সমর্থন পেলেও একমাত্র রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককনেল তাঁর মনোনয়নের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে গ্যাবার্ড এখন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গোয়েন্দা সংক্রান্ত পরামর্শ দেবেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তুলসী গ্যাবার্ডের এই নিয়োগ ট্রাম্পের জন্য বড় একটি রাজনৈতিক বিজয়। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন তাঁর মনোনীত কর্মকর্তাদের দ্রুত সিনেটের অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তুলসীর নিয়োগ নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।
৪৩ বছর বয়সী গ্যাবার্ড সিনেটে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন, যেখানে তাঁর কম অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের দায়িত্বে আসার আগে তিনি কোনো গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করেননি বা গোয়েন্দা সংক্রান্ত কোনো কংগ্রেস কমিটিতেও ছিলেন না। তাঁর নেতৃত্বে ১০ হাজার কোটি ডলারের বিশাল গোয়েন্দা কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের পদটি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর সৃষ্টি করা হয়। এটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান পদ।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি কর্মসূচির পরিচালক এমিলি হার্ডিং বলেছেন, "জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির কাছে দেশের সবচেয়ে গোপনীয় তথ্য থাকবে এবং তিনি প্রেসিডেন্টের প্রধান গোয়েন্দা উপদেষ্টা হবেন।"
তবে গ্যাবার্ডের নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। অনেকে মনে করেন, তিনি রাশিয়ার আগ্রাসন নীতির প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করেন এবং সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। ২০১৭ সালে তিনি আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন, যা বিতর্ক সৃষ্টি করে।
জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন গোয়েন্দা কার্যক্রম রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হতে পারে বলে সমালোচকদের আশঙ্কা রয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন