লস এঞ্জেলেস কাউন্টির বাসিন্দাদের জন্য কর ফাইলিংয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে
মনে দুঃখ নিয়ে ৩০ বছর পর দেশে ফিরে গেলেন গুণীজন আলম
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রিয়মুখ শোটাইম মিউজিকের স্বত্ত্বাধিকারী আলমগীর খান আলম কাউকে না জানিয়ে শনিবার সকালে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বাংলাদেশে চলে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে শো টাইম মিউজিক ও ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড তিনিই চালু করেছিলেন। সেই সুবাদে সিনেমা ও নাট্যজগতের বহু অভিনেতা, অভিনেত্রী, গায়ক, গায়িকা তার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নিলেও আলমের নিজের কাগজ—পত্র হয়নি। আর সে কারণেই ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার অভিযানের শিকার না হয়ে নিজেই বাংলাদেশে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা যায়। তরুণ বয়সে পড়ালেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। প্রায় তিন দশক ধরে প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে অসংখ্য মানুষের সাথে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তারা সবাই আলমের জন্য মনোকষ্টে ভূগছেন। কিছুদিন আগে তিনি মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যান। তখন থেকেই তিনি অবশ্য বাংলাদেশে ফিরে যাবার কথা ভাবছিলেন।
আলমের বিদায়ে সাপ্তাহিক আজকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রানো নেওয়াজ লিখেছেন, রক্তের কিছু না। তারপরও কেন বুকের ভিতর একটু পর পর মুচড়ে উঠছে।
আলমের বিদায়ে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আহসান হাবিব সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, মায়ের টানে একজন স্বজ্জন নির্মোহ ও নিভৃতচারী মানুষের নীরব প্রস্থান। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অশ্রু সিক্ত নয়নে লিখতেও পারছিনা। অভিমানে নীরবে এভাবেই স্বদেশের উদ্দেশে চলে গেলেন ভাই! ভালো থাকুন আলম ভাই। আপনার সহচার্য খুবই মিস করবো। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নাই। কিছু ভালোবাসার সত্যিই প্রতিদান হয়না।আপনার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা অবিরাম। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।সৃস্টি কর্তার কৃপা আপনার সাথে সবসময় থাকবে।
বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তা ও আজকালের সিটি এডিটর অনিক রাজ বলেন, আলম ভাইয়ের সাথে প্রতিদিন জ্যাকসন হাইটসে। গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ পরে দেখা হলে বলি আলম ভাই, চলেন একসাথে লাঞ্চ করি। খুবই ভারাক্রান্ত মনে বলেন, না। অনিক রাতে আসবো। রাতে আসলেন তখনও মন খারাপ। পরে ভাইয়ের সাথে শেষ কথা হয় ১২ টার দিকে। সকালে এরকম একটা খবর শুনে ঘুম ভাঙ্গবে ভাবতেও পারিনি। মনটাও খুবই খারাপ। তার পর থেকে ফোন আসতেই থাকে। বাস্তবতা হচ্ছে আল্লাহ যা করবেন সবই ভালোর জন্য। তবুও আমার মন বলছে যদি খবরটা মিথ্যা হয়ে যেতো। কেনো বল্লাম?! এরকমটা হলে অন্তত কেউনা কেউ জানতো। আর এও হতে পারে যে জানলে আমরা বাসা চেইঞ্জ করার ব্যাপারে বলতাম। যেহেতু বাসা চেইঞ্জ এর বিষয়ে আলাপ করছিলাম। নিজের রক্তের না হলেও আলম ভাই অসুস্থ হওয়ার পর থেকে কেনো জানি আগের থেকে একটু বেশি আমার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে এবং আলম ভাই অনেকটা চুপচাপ হয়ে যান। আলম ভাই বাঙালি কমিউনিটিকে অনেক কিছু দিয়েছেন। আপনার অবদান অনেক। আলম ভাই আপনি যেখানেই থাকুন সুস্থ থাকুন।
শেয়ার করুন